স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১০ সেপ্টেম্বর।। ত্রিপুরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভুয়ো নথিপত্র দিয়ে জমি বিক্রির নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হল রানীরবাজারের দেবাশিষ চক্রবর্তী এবং পশ্চিম প্রতাপগড়ের বাসিন্দা বিপ্লব শর্মা। এই প্রতারক চক্রের আরও কয়েকজন রয়েছে। দিল্লীর ওই বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা হাপিজ করেছে এই প্রতারক চক্রটি। রবিবার উক্ত দুই অভিযুক্তকে আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লীর একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরায় একটি সামিটে এসেছিলেন। সেই সামিটে ওই সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন এবং আগরতলার কাছে বোধজংনগরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করে। সেই মোতাবেক দিল্লীর ওই সংস্থা জমি বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে।
দিল্লীর ওই সংস্থার সম্পর্ক হয় দেবাশিষ চক্রবর্তী, বিপ্লব শর্মা, নিখিল চক্রবর্তী, রাজেশ ত্রিপুরা এবং বিরচন্দ্র সাহাদের সাথে। তারা জানায় যে প্রায় ৫৩ একর জমি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তারা বিক্রি করবে। সেই মোতাবেক ভূয়ো দলিল সহ যাবতীয় নথিপত্র তারা তৈরী করেছে। এমনকি ভূয়ো চুক্তিপত্রও তৈরী করা হয়েছে। এর জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটিও ক্রয় করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ভূয়ো পাওয়ার অব এটর্নিও তৈরী হয়েছে। যাবতীয় দস্তাবেজ জাল ও ভূয়ো তৈরী করে দিল্লীর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে জমি বিক্রি বাবদ প্রথম দফায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
পরবর্তী সময়ে বিষয়টি সন্দেহ হয় বহিঃরাজ্যের ওই সংস্থার। তারপর তারা এমর্মে একটি মমলা দায়ের করেন আগরতলা পশ্চিম থানায়। মামলার নম্বর ১১১/২০২৩। মামলা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৭,৪৭১,৪৭৪ সহ আরও কয়েকটি ধারায়। পুলিশ মামলা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। তদন্তে দেবাশিষ চক্রবর্তী, বিপ্লব শর্ম, নিখিল চক্রবর্তী, বিরচন্দ্র সাহা এবং রাজেশ ত্রিপুরার নাম উঠে আসে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর হয়। অবশেষে পুলিশ দেবাশিষ চক্রবর্তী এবং বিপ্লব শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ খোঁজ খবর করছে।