স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর।। পারিবারিক যৌথ সম্পত্তি নিয়ে বাটোয়ারা মামলা চলাকালীন বেআইনিভাবে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৬ ধারার চূড়ান্ত অপপ্রয়োগের জন্য আর্থিকভাবে দণ্ডিত দুই সরকারি আধিকারিক রেহাই পেলেন না উচ্চ আদালতে। সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড় গত ১১ আগস্ট প্রদত্ত আদেশে বর্তমানে মোহনপুরের এসডিএম সুব্রত ভট্টাচার্য ও কুমারঘাট এর ডিসিএম আবিদ হোসেনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জরিমানার অর্থ রাশি ৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে প্রদানের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট।
সোমবার রাজ্য সরকার আর্থিক জরিমানায় দণ্ডিত দুই আধিকারিক এর পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন জরিমানা প্রদানের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য। উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে এস এল পি দায়ের করার যুক্তি দেখায়। তাই জরিমানার অর্থ জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়। সরকারি আইনজীবীদের এই আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড় রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এরপর তড়িঘড়ি জরিমানা বাবদ ৫০ হাজার টাকা হাইকোর্টে জমা করেছেন দণ্ডিত দুই সরকারি আধিকারিক।
ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বারা ন্যস্ত বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতার জন্য আর্থিক জরিমানায় দণ্ডিত আধিকারিকদের পক্ষে সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুই আধিকারীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা থেকে বাঁচাতে নাগরিকদের করের টাকায় স্ফীত সরকারি কোষাগারের অর্থ খরচ করার নৈতিকতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন। হাইকোর্টের রায়ে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা থেকে রেহাই দিতে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল করতে কত লক্ষ টাকা খরচ হবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা।