লাইট হাউজের ফ্ল্যাট মালিকদের কাছে হস্তান্তর হবে ২০২৪ এর এপ্রিলে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর।। প্রধানমন্ত্রীর ড্রিম প্রোজেক্ট লাইট হাউজ প্রকল্পে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজ শেষ করে তা ফ্ল্যাটের মালিকদের কাছে হস্তান্তর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নির্মাণ সংস্থা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সোমবার আগরতলা শহরের কয়েকটি সরকারি ভবন পরিদর্শন করেন মখ্যমন্ত্রী। সেইসাথে তিনি টুডার টাউনশিপ প্রকল্পে নির্মিত ফ্ল্যাট, আগরতলা আইসিপি সংলগ্ন লাইট হাউজ প্রকল্পে নির্মিত ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ ও আগরতলার পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে নির্মিয়মান মাল্টিলেভেল কার পার্কিং কমপ্লেক্সটিও পরিদর্শন করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রথম মাতঙ্গিনী প্রীতিলতা অডিটোরিয়ামটি পরিদর্শন করেন। বর্তমানে অডিটোরিয়ামের সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারের কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং উচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন হয় সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দপ্তরের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন পরিদর্শন করেন। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ ও ২নং হলটি পরিদর্শনের সময় সেখানকার কিছু সমস্যা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী অবগত হন এবং তার দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় ও আর্ট কলেজটি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগরতলা শহরে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলি কি অবস্থায় রয়েছে তা চাক্ষুস করাই এই পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে যেখানে কিছু সমস্যা দেখা গেছে তা দ্রুত সমাধানেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনটি আগরতলা শহরের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম ভবন। এখানে প্রায় প্রতিদিনই সরকারি-বেসরকারি নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এই দুটি হলের আসনগুলি আরও উন্নতমানের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, টুডার টাউনশিপ প্রকল্পে কামান চৌমুহনী ও কুঞ্জবনের ভগৎ সিং যুব আবাস সংলগ্ন স্থানে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এরমধ্যে কামান চৌমুহনীতে নির্মিয়মান সমস্ত ফ্ল্যাটেরই বুকিং হয়ে গেছে এবং কুঞ্জবনে নির্মিয়মান ফ্ল্যাটের ৬০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। টাউনশিপ প্রকল্পে এই দুটি স্থানে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শেষ হলে আগরতলাবাসীর জন্য বেশ সুবিধা হবে। দুটি প্রকল্পের কাজই দ্রুত শেষ করার জন্য নির্মাণ সংস্থার কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে মাল্টিলেভেল কার পার্কিংয়ের কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। আগরতলা শহরে গাড়ি পার্কিং একটি বড় সমস্যা। মাল্টিলেভেল কার পার্কিংয়ের কাজ শেষ হলে আগরতলা শহরে পার্কিং সমস্যার সমাধান হবে। নির্মাণ সংস্থাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গুণগতমান বজায় রেখে কাজটি শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন এবং পূর্ত দপ্তর ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?