স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১০ আগস্ট।। ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলাতে ডেঙ্গুর থাবা। পুর নিগমের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ধনেশ্বর এলাকায় একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। খবর জানাজানি হতে দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরে। মাঠে নেমে পড়েছে স্বাস্থ্য কর্মীরা। রাজ্যের মফস্বল জেলার পর রাজধানীতে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত শহরবাসী।
সূত্রের খবর, ধলেশ্বর এলাকার ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বর নিয়ে কয়েকদিন আগে বহিরাজ্য থেকে আগরতলায় ফিরেছেন। বুধবার তার রক্ত পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু পজেটিভ বলে শনাক্ত হন তিনি। তবে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও তার অবস্থা স্থতিশীল। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে ময়দানে নামে পড়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে আর কেউ জ্বরের রোগী আছেন কিনা খবর নিয়েছেন। এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমনকি এলাকায় বিশেষ স্বাস্থ্য শিবির করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
এদিকে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় ছুটে গেছেন স্থানীয় পুর কর্পোরেটর সীমা সাহা। এলাকায় মশা নিধনের জন্য ব্যাপক ফগিং করা হচ্ছে জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়া বিভিন্ন নালা নর্দমায় ডিডিটি স্প্রে করার কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকাবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কর্পোরেটর। স্থানীয়দের মধ্যে জরে আক্রান্ত কোনো রোগী থাকলে তাদের এখনই রক্ত পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এক কথায় স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুর নিগম কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অবস্থা সামাল দিতে মাঠে নেমেছে। যার ফলে শহরবাসির মধ্যে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে।
প্রসঙ্গত এর আগে সিপাহীজলা জেলার ধনপুরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। ইতিমধ্যে এই এলাকার একজনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে রোগীর ভিড় সামাল দিতে ধনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ট্রেনিং প্রাপ্ত বেকার স্থানীয় নার্সদের দৈনিক হাজীরার ভিত্তিতে নিয়োজিত করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছিল। তবে রাজ্য সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই বন্ধ। এরই মধ্যে রাজধানী আগরতলা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার খবরে নতুন করে চিন্তায় ফলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে।