স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৯ আগস্ট।। ত্রিপুরায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শিক্ষা পদ্ধতি সময়োপযোগী করা হয়েছে। শিশুদেরও পরবর্তী সময়ে যাতে ভালো বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো সম্ভব হয় সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির সঙ্গে জড়িত সকলস্তরের কর্মীদের হৃদয় দিয়ে কাজ করতে হবে, যাতে বিষয়টি শিশুদের অভিভাবকগণ উপলব্ধি করতে পারেন৷ তবেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শিশুরা আরও অধিক সংখ্যায় পড়তে আসবে। আজ প্রজ্ঞাভবনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনা সভায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় রাজ্যের প্রত্যেকটি আইসিডিএস প্রোজেক্টের সিডিপিওগণ, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রিন্সিপাল অফিসার সহ দপ্তরের সকলস্তরের আধিকারিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
পর্যালোচনা সভায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পড়াশুনার আরও ভালো পরিবেশ এবং কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অধীনে কতটুকু জমি রয়েছে, জমির মালিকানাসত্ব কার কাছে রয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামোগত অবস্থা নিয়ে একটি ডাটা ব্যাঙ্ক তৈরি করার জন্য আধিকারিকদের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, দিব্যাঙ্গজন, বয়স্ক, মহিলা, শিশুদের নিয়ে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের কাজ। এক্ষেত্রে দপ্তরের সকলকে সমাজসেবামূলক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মাত্রু পুষ্টি উপহার ও প্রধানমন্ত্রী মাজু বন্দনা যোজনার সুফল প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পর্যালোচনা সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জনজাতি ও সংখ্যালঘু এলাকায় মিশন ইন্দ্ৰধনুষ ৫.০ কর্মসূচিতে যাতে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সুনিশ্চিত করতে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের প্রতিটিস্তরের কর্মীদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি রাজ্যের বিভিন্ন হোমগুলি, ওয়ান স্টপ সেন্টারগুলি আরও সূচারু রূপে পরিচালনা করার জন্য আকস্মিক পরিদর্শন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এছাড়াও তিনি জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড, স্পেশাল জুভেনাইল পুলিশ ইউনিট, বাল্য বিবাহ, সিনিয়র সিটিজেন হেল্প লাইন ইত্যাদি সম্পর্কে দপ্তরের কি কি করণীয় তা নিয়েসংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা স্মিতা মল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সহ অধিকর্তা এল রাঞ্চল। কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিশন মুকুল বাস্তবায়ন বিষয়েও বিস্তৃত আলোচনা করা হয়।