স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ৫ আগস্ট।। সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসন তথা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা ক্রমে রাজ্যজুড়েই ড্রাগস কন্ট্রোলারের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে এই সময়ের মধ্যে ড্রাগস কন্ট্রোলারের নির্দেশক্রমে বিভিন্ন স্তরের শীর্ষ পদস্থ ও আধিকারিকেরা বিভিন্ন ঔষধের দোকানগুলিতে নিয়মিতভাবে নিরীক্ষণ করে কোন প্রকারের দুর্নীতি অথবা আইন অমান্য করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টা দেখার চেষ্টা হচ্ছে।এরকমই এক রুটিন চেকিং-এ গিয়ে তেলিয়ামুড়া থানাধীন মোহরছড়া বাজারে জনৈক ঔষধ ব্যাবসায়ীর দ্বারা রীতিমতো শারীরিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন সরকারি দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মোহরছড়া’র আনন্দ মেডিকেল হল নামক একটি ঔষধের দোকানে যখন ড্রাগস কন্ট্রোলারদের এক প্রতিনিধি দল নিরীক্ষণ করতে প্রবেশ করে তখন আচমকা সংশ্লিষ্ট দোকানের দোকান মালিক চিনু ঘোষ আধিকারিকদের উপর শারীরিক আক্রমণ সংঘটিত করে দোকানের পেছনের দরজা দিয়ে একটা বেগ-এ করে কিছু ঔষধপত্র সহ পালিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে আক্রমণের শিকার আধিকারিকদের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া ও কল্যাণপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পরপরই মোহরছড়া বাজারের স্থানীয় মানুষরা আনন্দ মেডিকেল হল চত্বরে ভীড় জমাতে শুরু করে এবং একটা সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকে।
পরবর্তী সময়ে সরকারি কাজ করতে গিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তা হওয়ায় প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় সংশ্লিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ী চিনু ঘোষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে এভাবে সরকারি কাজ করতে গিয়ে জনৈক ঔষধ ব্যাবসায়ীর দ্বারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ঠিক এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ড্রাগস কন্ট্রোলারে’রা কেন পুলিশকে না জানিয়ে এই রকমের অভিযান সংঘটিত করছেন এতেও কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। যদিও পরবর্তীতে আনন্দ মেডিকেল হল নামক ওই ঔষধের দোকানটি সিল করে দেয় আধিকারিকদের ওই প্রতিনিধি দল।