অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জুলাই।। শরীরে হেপাটাইটিস নির্ণীত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিতে হবে। ভাইরাল হেপাটাইটিস জনিত কারণে পৃথিবীতে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজন মানুষ মারা যায়। হেপাটাইটিস বি-সি, লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
হেপাটাইটিস সম্পর্কে ধারণা–
হেপাটাইটিস (লিভারের প্রদাহ) সাধারণত এ, বি, সি, ডি, ই—এই পাঁচ ধরনের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। হেপাটাইটিস এ এবং ই খাদ্য ও পানীয়বাহিত। হেপাটাইটিস ই ভাইরাস গর্ভকালীন অবস্থায় গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। হেপাটাইটিস ডি সাধারণত হেপাটাইটিস বি-এর সঙ্গে তার প্রদাহ ক্রিয়া করে থাকে। প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে হেপাটাইটিস বি ও সি। নীরবে দীর্ঘদিন ধরে লিভারের ক্ষতিসাধন করে লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ও লিভার ফেইলিওর করে থাকে। আর এ জন্য এই দুই ভাইরাসকে নীরব ঘাতকও বলা হয়।
ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধের উপায়–
হেপাটাইটিস বি ও সি রক্ত, রক্তের উপাদান এবং বডি ফ্লুইডসের (বীর্য, অশ্রু, মুখের লালা ইত্যাদি) মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে।
যেসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি–
রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। একবার ব্যবহার্য সিরিঞ্জ ও সুচের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নিজস্ব দাঁতের ব্রাশ, রেজার, কাঁচি ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। চুল কাটার পর এবং শেভ করার সময় একবার ব্যবহার্য ব্লেড ব্যবহার। হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো ক্রমেই রক্ত বা অঙ্গদানকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। নাক-কান ছিদ্র করা এবং ট্যাটু করার সময় একই সুচ ব্যবহার না করা। সব ধরনের সার্জারি এবং দাঁতের চিকিৎসায় জীবাণুমুক্ত যন্ত্র ব্যবহার নিশ্চিত করা। নিরাপদ যৌনাচার।
হেপাটাইটিসের চিকিৎসা–
নির্দিষ্ট নিয়মে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করা হয়। টিকা গ্রহণের আগে অবশ্যই হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করে নেওয়া উচিত। হেপাটাইটিস সি-এর প্রতিরোধক কোনো টিকা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তাই ব্যক্তিগত প্রতিরোধই এই রোগের একমাত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা। যেসব দ্রব্য রোগীর রক্তের সংস্পর্শে আসে (ক্ষুর, ব্লেড, রেজার, টুথব্রাশ, সুচ) সেগুলোর মাধ্যমেই এই রোগ ছড়াতে পারে। বাংলাদেশে হেপাটাইটিস বি ও সি চিকিৎসার সব ধরনের মুখে খাওয়ার ওষুধ ও ইনজেকশন বিদ্যমান।