অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জুন।। জয় থেকে মাত্র ১৫১ রান দূরে ছিল ইংলিশরা। হাতে ছিল ৫ উইকেট। পড়েছিল আজ সারাদিন। কিন্তু সুযোগটা লুফে নিতে পারলেন না তারা। বলা ভালো তাদের সেটা নিতে দেননি অজি বোলার অ্যাশলি গার্ডনার। টেস্টে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েই ছিলেন উচ্ছ্বসিত। কিন্তু এতেই থেমে থাকেননি। ৮ উইকেট নিয়ে ধস নামিয়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপে। তাতে মেয়েদের অ্যাশেজে ৮৯ রানের জয় পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এই জয়ের মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের (২০-৬-৬৬-৮) মালিকও এখন গার্ডনার। তালিকার প্রথমে থাকা ভারতীয় স্পিনার নিতু ডেভিড ১৯৯৫ সালে নিয়েছিলেন ৫৩ রানে ৮ উইকেট। তিনিও এই রেকর্ড গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ট্রেন্ট ব্রিজে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৪৭৩ রান। যেখানে আট নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। আট বা এর পরে নেমে সেঞ্চুরি করে তৃতীয় ব্যাটার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। এর আগে এমন কীর্তি আছে অস্ট্রেলিয়ারই কারেন প্রাইস ও শ্রীলঙ্কার চামারি সেনেবীরত্নার।
বড় সংগ্রহের জবাবে ওপেনার বেমন্টের ডাবল সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড থামে ৪৬৩ রানে। ১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ২৫৭ রান। অর্থাৎ টেস্ট জিততে হলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৬৮ রান। ইংল্যান্ডের জন্য এই রান তাড়া করাটা একটু কঠিনই ছিল, বিশেষ করে স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে।
তবে শুরুটা যদিও ভালোই করেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ১০ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তারা তুলেছিল বিনা উইকেটে ৫৫ রান। তবে এরপর আর কোনো জুটিতেই পঞ্চাশ রানের জুটি গড়তে পারেননি। ওপেনার বেমন্ট ও মিডল অর্ডার ব্যাটার সোফিয়া ডাঙ্কলি ছাড়া সব ইংলিশ ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়েছেন গার্ডনার। তাতে ১৭৮ রানেই থামে ইংল্যান্ড।
অ্যাশেজে ২০১৪ সালে শেষবার জিতেছিল ইংল্যান্ড। তারপর থেকে একচ্ছত্র আধিপত্য অস্ট্রেলিয়ানদের। যদিও ২০১৮ সালের ম্যাচটিতে ড্র করেছিল তারা। কিন্তু আগের সিরিজে জয় যাদের ট্রফিটা তাদের ঘরেই থেকে যায়। সেবার তাই ট্রফির দখলটা ছিল অজিদের কাছেই।
সোফি একলস্টোন ও গার্ডনার; অ্যাশেজের একমাত্র টেস্টজুড়ে পারফর্ম করলেন দুজনই। ইংলিশ স্পিনার একলস্টোন নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। মেয়েদের টেস্টের প্রথম যাবল সেঞ্চুরিয়ান টমি বেমন্টের মনটাও খারাপ হতে পারে এই পরাজয়ে।