অনলাইন ডেস্ক, ২ অক্টোবর।। এ দেশে মেয়েদের নির্যাতনের ইতিহাস অনেক পুরনো। তবে সম্প্রতি দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। ২০১৯ সালে দেশে মেয়েদের উপর হওয়া অপরাধ সংক্রান্ত রিপোর্ট শিউরে ওঠার মতো। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, কড়া আইন থাকা সত্বেও ভারতে এখনও পারিবারিক হিংসা বা পণের দাবিতে অত্যাচারের মতো অপরাধে লাগাম পরানো যায়নি। প্রতি ঘন্টায় একটি মেয়েকে পণের জন্য তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোক খুন করে।
প্রতি চার মিনিট অন্তর দেশের একজন বধূ তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে অত্যাচারিত হন। এদেশে প্রতি ১৬ মিনিটে অন্তত একজন মেয়ে ধর্ষিতা হয়। প্রতিদিন দেশে ৯০ থেকে ৯১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শুধু কী তাই, প্রতি ৩০ ঘণ্টা অন্তর কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এদেশে। গতবছর দেশে প্রত্যেক ২ ঘণ্টা অন্তর কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অ্যাসিড হামলার ঘটনাও ঘটেছে রীতিমতো উদ্বেগজনক হারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী গতবছর প্রতি দুদিন অন্তর দেশের কোনও না কোনও মেয়েকে অ্যাসিড হামলার শিকার হতে হয়েছে। একই হাল নারী পাচারের ক্ষেত্রেও। গতবছর প্রতি চার ঘণ্টায় কোনও না কোনও মহিলাকে পাচার করা হয়েছে।গতবছর প্রতি ৬ মিনিট অন্তর দেশের কোনও না কোনও মহিলাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের হাথরস ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়ের মৃত্যুর পর গর্জে উঠেছে গোটা দেশ।
তারমধ্যেই এই রিপোর্ট প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে আদৌ এই দেশে মেয়েরা সুরক্ষিত তো? তবে নারী সুরক্ষার দায় যতটা প্রশাসনের ঠিক ততটাই দায় সাধারণ মানুষের। এই সব সামাজিক ব্যাধি সমাজেই লালিত পালিত হচ্ছে, তাই এর থেকে মুক্তির জন্য সামাজিক জীব হিসেবে মানসিকতার বদল জরুরি বলেই মত সমাজতত্ত্ববিদদের ।