অনলাইন ডেস্ক, ৭ জুন।। উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সুদানে দেশটির সামরিক বাহিনীর সাথে আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘাত দিন দিন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে দুই বাহিনীর যুদ্ধের মধ্যেই এবার সুদানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় কঙ্গোর দশ নাগরিক নিহতের অভিযোগ তুলেছে খোদ কঙ্গো সরকার। বুধবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কঙ্গো সরকার জানায়, রবিবার বিকেলে সুদানের রাজধানী খার্তুমের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ আফ্রিকাতে বোমা হামলায় তার দেশের নাগরিকরা মারা যায়। কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “আমাদের যেটা খুব কষ্ট দেয় তা হল সেনাবাহিনী জেনেশুনেই নিয়মিত সেখানে বোমা ফেলেছিল, যেখানে বিদেশীরা আছে।” বিবিসি বলছে, রবিবারের বোমা হামলায় যারা হতাহত হয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা তা স্পষ্ট নয়। এটি এমন একটি এলাকা হতে পারে যেখানে সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন বিদেশী নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক টুইট বার্তায় বলেন, খার্তুমে হামলায় ১০ জন শরণার্থী মারা গেছেন। অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। সুদানের আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস আরএসএফ জানায়, রবিবারের বোমা হামলাটি যে এলাকায় হয়েছিল সেখানে আফ্রিকান শরণার্থীরা অবস্থান করছিল। তারা মৃত কঙ্গো নাগরিকদের সংখ্যা ২৫ বলে উল্লেখ করে। আরএসএফ ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা একটি ভিডিও টুইট করেছে।
যেখানে দেখা যায়, ভিডিওতে একজন দুস্থ নারী বলছেন, তার স্বামী হামলায় মারা গেছে। নারীটি আরবি এবং লিঙ্গালা ভাষার মিশ্রণে কথা বলছিল। এই ভাষাটি মূলত ডিআর কঙ্গোর পশ্চিমে বলা হয়। ভিডিওতে আরও একজন বলেছেন: ‘আমরা কঙ্গোলিজ… এখানে অনেক মানুষ কঙ্গোলিজ। কোথায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়?’কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ লুতুন্ডুলা বলেছেন, “ডিআর কঙ্গো সুদান সরকারের কাছে এই ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং নিহতদের মৃতদেহ বিনামূল্যে প্রত্যাবাসন করা হবে বলে আশা করছে।“
এছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে কঙ্গোলিজ সরকার সুদানি কর্তৃপক্ষকে একটি মানবিক করিডোর খুলতে বলেছে যাতে হামলায় আহতরা এবং সুদানে আটকে থাকা অন্যদের সরিয়ে নেওয়া যায়। তবে এসব বিষয়ে সুদানের সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।