অনলাইন ডেস্ক , ১৬ এপ্রিল।। প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের কাছ থেকে খাদ্যপণ্য ও শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি। নিজেদের দেশের কৃষিখাত ও কৃষকদের সুরক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে দেশগুলো।
তাদের বাজারে এসব পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দুই দেশের এই সিদ্ধান্তের কথা রোববার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এদিকে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন।
দেশটি বলেছে, ‘বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই ধরনের একতরফা কঠোর পদক্ষেপ পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করবে না’। ইউক্রেনে উৎপাদিত শস্য ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলোতে উৎপাদিত শস্যের চেয়ে তুলনামূলক সস্তা। রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের কারণে কৃষ্ণসাগরের কিছু বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় শস্য ইউরোপের মধ্যাঞ্চলের দেশগুলোর বাইরে যেতে পারছিল না।
এতে এসব দেশে পণ্যের সরবরাহ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম কমে যেতে থাকে। আর তাতে স্থানীয় কৃষকদের ওপর এর প্রভাব পড়ে। নির্বাচনী বছরে পোল্যান্ডে অর্থনৈতিক স্থবিরতার পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহের বিষয়টি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে সে দেশের সরকারকে।
তাই সরকার পোল্যান্ডে শস্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রবেশ ও আমদানি নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। শস্য থেকে শুরু করে মধু পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পণ্য এ তালিকায় থাকছে। ইউক্রেনের খাদ্য ও কৃষিনীতিমালা–বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, পোল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞাটি দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চুক্তির বিরোধী। ইস্যুটির সমাধানে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এদিকে পোল্যান্ডের পরে হাঙ্গেরিও এ নিষেধাজ্ঞার কাতারে যোগ দেয়। তারাও বলে, স্থানীয় কৃষকদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে ইউক্রেনের শস্য ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কবে থেকে কার্যকর হবে, তা হাঙ্গেরি উল্লেখ করেনি। তারা বলছে, আগামী জুনের শেষ নাগাদ এর মেয়াদ শেষ হবে।