অনলাইন ডেস্ক , ১৫ এপ্রিল।। উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ক্ষমতা নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। শনিবার (১৫ এপ্রিল) হঠাৎ করেই তা তুমুল লড়াইতে রূপ নিয়েছে সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে।
চলমান লড়াইতে ইতিমধ্যে ৫৬ জন বেসামরিক লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি নিউজ। যাদের মধ্যে জাতিসংঘের যে তিন কর্মীও রয়েছে বলে জানা গেছে। সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সেনাসদর ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় শহরে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিকসহ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। মূলত গতকাল শনিবার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালায় আরএসএফ। এ অভ্যুত্থানচেষ্টার জেরে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের সংঘর্ষ বাধে।
সেনাবাহিনী ও আরএসএফ উভয় পক্ষই দাবি করেছে, রাজধানী খার্তুমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা। তবে এসব স্থানে রাতভর লড়াই চলছিল। এ ছাড়া দারফুর অঞ্চলের শহরগুলোসহ দেশটির অন্যত্রও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সামরিক উড়োজাহাজগুলো আরএসএফের ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে।
সুদানের একটি চিকিৎসক ইউনিয়ন জানিয়েছে, সহিংসতায় অন্তত ৫৬ জন নিহত ও প্রায় ৫৯৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে সামরিক কর্মীও রয়েছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে অনেক সামরিক কর্মীকে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।জাতিসংঘের যে তিন কর্মী নিহত হয়েছেন, তাঁরা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) কর্মরত ছিলেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় সংস্থাটির দুই কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। ডব্লিউএফপির বেশ কিছু গাড়িতে আরএসএফ লুটপাট চালিয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরের এক অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদান পরিচালনা করছেন সামরিক জেনারেলরা।