যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজ্যেও পালিত মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তি

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ অক্টোবর।। ভারতবর্ষে কৃষ্টি-সংস্কৃতির সাথে যে বড় ব্যক্তিত্ব রয়েছে সেটা হলো মহাত্মা গান্ধিজি। মহাত্মা গান্ধিজি এবং স্বামী বিবেকানন্দ দুজনই বিশ্বের কাছে ভারতবর্ষের আদর্শ এবং সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন। শিক্ষাকে চাকরির নজরে না দেখে স্বাবলম্বনের ন্যায় দেখা কথা বলেন মহাত্মা গান্ধিজি। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে দিকে গুরুত্ব দিয়ে নয়া শিক্ষা নীতি চালু করেছে। যাতে স্বনির্ভর ভারত গড়ে তোলা যায়।শুক্রবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে মহাত্মা গান্ধিজির ১৫১ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

এদিন অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য, টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ইউ কে চাকমা সহ অন্যান্যরা।এদিকে মহাত্মা গান্ধিজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর সার্কিত হাউসস্থিত গান্ধিজির মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন রাজ্যপাল রমেশ বৈশ। এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর জায়া নীতি দেব।

রাজ্যপাল রাজ্যবাসীকে মহাত্মা গান্ধীর মতাদর্শে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান, যাতে মহাত্মা গান্ধিজি যে স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়িত হয়। এছাড়াও গান্ধিজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।অপরদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে প্রদেশ কংগ্রেস গান্ধীঘাট শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করে শ্রদ্ধা জানায়। পরে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সম্মুখে মহাত্মা গান্ধিজির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস।

তিনি রাজ্যবাসীকে মহাত্মা গান্ধিজির মতাদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫১ তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার বিজেপির উদ্যোগে রাজধানীর দূর্গা চৌমুহনী বাজারে সংগঠিত হয় স্বচ্ছ ভারত অভিযান। সারা রাজ্যের সঙ্গে এদিন দুর্গা চোমুনি বাজারের সাফাই অভিযান এ হাত লাগান বিজেপি নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা, রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় সহ অন্যান্যরা। মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছ ভারতের যে চিন্তা ধারা তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযান সরকারিভাবে সূচনা করেন। ২০১৯ সালে সার্ধশতবর্ষে তা উদযাপন করা হয়।

প্রথম ধাপের স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির পর এবার দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে নতুন উদ্যোগ। ২০২০-২১ থেকে শুরু করে, ২০২৩-২৪ পর্যন্ত এই স্বচ্ছ ভারত অভিযান চলবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান কেবল রাস্তাঘাট সাফাই করাই নয়। মন কেউ স্বচ্ছ রাখতে হবে। কোভিড ১৯ এর অসময়ে স্বচ্ছতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। করোনা অনেক কিছু শিখিয়েছে নতুন করে।জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নীতি ও আদর্শকে সম্মান জানানোর জন্য সংকল্পবদ্ধ হতে আহ্বান জানান প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা। অনুরূপভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি তপশিলি জাতি মোর্চা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির উদ্যোগে প্রতাপগড় বাজারে স্বচ্ছ ভারত অভিযান সংগঠিত করা হয়। জিলা ও মন্ডলের কার্যকর্তারা সকলে মিলে এই সাফাই অভিযানে হাত লাগান।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?