অনলাইন ডেস্ক, ১৬ মার্চ।। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ কথা জানিয়ে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে চীন অযথা এলাকা দখল করার চেষ্টা করছে বলে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন সেনেট। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মার্কিন সেনেটে এই বাইপার্টিসান সিদ্ধান্ত নেয়।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় চীন চরম আগ্রাসনের নীতি নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধুদের পাশে আছে এবং তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে এই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ দেশ মনে করে এবং তার পাশে আছে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের অরুণাচল সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা তৈরি করছে চীন। বার বার সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে, সামরিক কাঠামো তৈরি করে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এর তীব্র নিন্দা জানায়। যুক্তরাষ্ট্র ম্যাকমোহন লাইনকে স্বীকৃতি দেয় এবং মনে করে অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদিকে লাদাখ এবং অন্যদিকে অরুণাচল, তিব্বতের সঙ্গে ভারতের এই দুই সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের সংঘাত। একাধিকবার এই দুই এলাকায় স্ট্যান্ড অব হয়েছে।
চীন অরুণাচল তাদের অংশ বলে দাবি করে। তারা ম্যাকমোহন লাইন মানে না। ১৯৫০ সালে ভারতের সঙ্গে তিব্বতের চুক্তিও মানতে চায় না চীন। ফলে অ্যাকচুয়াল লাইন অব কন্ট্রোল বা এলএসি-তে সংঘাত লেগেই থাকে। আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারত এ বিষয়ে বার বার অভিযোগ করেছে। এবার যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালো।
বস্তুত যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে পরমাণু অস্ত্রের সাবমেরিন রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জোটবদ্ধ অবস্থানের কথাও বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অরুণাচল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।