স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৮ মার্চ।। মন্ত্রীত্ব নিয়ে অমিত শাহ-রাজামশাইয়ের দরকষাকষিতে পাল্টে যাবে ত্রিপুরার বিরোধী দলের রঙ? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে। শপথ গ্রহণের দিনেই সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে নজিরবিহীন বৈঠকের কেন্দ্র আগরতলা। বুধবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় বিজেপি সরকার শপথ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সাহা।
এই দিনেই প্রধান বিরোধীপক্ষ হওয়া উপজাতি দল তিপ্রা মথার প্রধান রাজা প্রদ্যোত দেববর্মণের সাথে অমিত শাহ বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, উপজাতি দলকে কাছে টানতে মরিয়া বিজেপি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ দিতে রাজি। তবে গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড ইস্যুকে সমর্থন নয় বলে জানানো হয়। রাজা কি রাজি হবেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন তিপ্রা মথার প্রধান রাজা প্রদ্যোত তাঁর দলের ভাঙন নিয়ে চিন্তিত। কারণ, দলের একাংশ বিধায়ক চাইছেন সরকারের শরিক হতে। এরা যে কোনও সময় দলত্যাগ করে বিজেপিতে সামিল হতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনজনকে মন্ত্রিসভায় আনতে পারে বিজেপি।
সেরকম কিছু হলে ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারাবে মথা। সেই তকমা পাবে সিপিআইএম। বিধানসভায় তিপ্রা মথার বিধায়ক সংখ্যা ১৩ জন। আর সিপিআইএমের ১১ জন, কংগ্রেসের ৩ জন। গত বিধানসভায় সিপিআইএম ছিল প্রধান বিরোধী দল।
তিপ্রা মথার বিধায়কদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠ্ছে বিজেপির সাথে গোপন সমঝোতা ও রাজ্যের উপজাতিদের ভাবাবেগ নিয়ে রাজনৈতিক খেলার। যদিও মথার প্রধান রাজা প্রদ্যোত জানান, ভূমিপূত্রদের বাদ দিয়ে শাসন চালাতে কষ্ট হবে। তাঁর এই মন্তব্যে প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে ধরে নিয়েছে বিজেপি।