সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র ছাড়াও ভারতের নির্বাচন কমিশন ১২টি বিকল্প পরিচয়পত্র অনুমোদন করেছে

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ ফেব্রুয়ারী।। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। রাজ্যের প্রায় একশো শতাংশ ভোটারের স্বচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র রয়েছে। যদি কোনও ভোটার ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটার পরিচয়পত্র দেখাতে না পারেন তবে ভোটারগণ বিকল্প হিসেবে অন্য ১২টি পরিচয়পত্র দেখিয়েও ভোট দিতে পারবেন।

এগুলি হলো আধার কার্ড, এমজিএন রেগা জবকার্ড, ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের দেওয়া ছবি সম্বলিত পাসবই, শ্রম মন্ত্রকের দেওয়া স্বাস্থ্যবীমার স্মার্ট কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, এনপিআর-এর দেওয়া আরজিআই স্মার্ট কার্ড, ভারতীয় পাসপোর্ট, ছবি সহ পেনশনের নথি, কেন্দ্রীয় সরকার / রাজ্য সরকার / পিএসইউ / পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির কর্মীদের ছবি সম্বলিত সার্ভিস আইডেন্টিটি কার্ড, এমপি / এমএলএ / এমএলসিগণকে দেওয়া অফিসিয়াল আইডেন্টিটি কার্ড এবং কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের দেওয়া ইউনিক ডিসেবিলিটি আইডি।

আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের অফিসের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিতো একথা জানান। ভারতের নির্বাচন কমিশন এই ১২টি বিকল্প পরিচয়পত্র অনুমোদন করেছে।সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মডেল পোলিং স্টেশন খোলা হবে ৮৮টি। মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হবে ৯৭টি।

তিনি জানান, এই কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা কর্মীরাও মহিলাই হবেন। দিব্যাঙ্গজন পরিচালিত ভোটকেন্দ্র খোলা হবে ২৮টি। এই ভোটকেন্দ্রগুলিতে সবাই দিব্যাঙ্গজন হবেন এমন নয়। প্রতিটি বুথে দু’একজন থাকবেন। দিব্যাঙ্গজনরাও যে সমানভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারেন তা তুলে ধরতেই এই ব্যবস্থা। নবীন প্রজন্যকে নির্বাচনী কাজে উৎসাহিত করতে যুবক যুবতীদের দ্বারা পরিচালিত ভোটকেন্দ্র খোলা হবে ৩৩টি।

সিইও জানান, মডেল বুথগুলিতে রাজ্যের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি তুলে ধরা হবে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, ইভিএম কমিশনিং, পোস্টাল ব্যালট, সার্ভিস ভোটার এবং টেন্ডার ব্যালটে ভোটদানের জন্য ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সারা রাজ্যে ইভিএম কমিশনিং করা হবে।

তিনি জানান, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরা আসাম এবং মিজোরামের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ মহানির্দেশকদের নিয়ে ভার্চুয়ালি যৌথ বৈঠক করবেন। সারা রাজ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সারা রাজ্যে ২১ কোটি ২৫ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার বেআইনি মদ, নেশা দ্রব্য, নগদ অর্থ সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?