স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩ ফেব্রুয়ারী।। জট কাটিয়ে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সমঝোতা চূড়ান্ত রূপ নিল। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Election 2023) এই ‘বামগ্রেস’ জোট এবার কোমর বেঁধে ভোট যুদ্ধে নেমে পড়ল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহার বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
দু তরফের বাড়তি প্রার্থীরা দলীয় নির্দেশ মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন। তাদের এখন এক শত্রু বিজেপি। ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটকে কঠিন লড়াই বলেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
আর বিরোধী দল সিপিআইএম ও কংগ্রেসের দাবি, এ রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিজেপিকে হারাতে সমঝোতা চূড়ামণি হয়ে গেছে। সেই রফা অনুসারে সিপিআইএম লড়াই করবে ৪৬টি আসনে। কংগ্রেস লড়বে ১৩টি আসনে। আর একটি কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থীকে উভয় দল সমর্থন করবে।
৬০টি বিধানসভা আসনের এই সমঝোতা অবশেষে জট কাটিয়েছে। জট লাগিয়েছিল কংগ্রেস। সমঝোতার রফায় তাদের বরাদ্দ করা ১৩টি আসনের বদলে তারা ১৭টি আসনে প্রার্থী দেয়। কংগ্রেসকে চাপে রেখে সিপিআইএমের তরফে প্রার্থী দেওয়া হয় কংগ্রেসের জন্য ছাড়া ১৩টি আসনেই। এতে সমঝোতা জট আরও জটিল হয়েছিল।
বু়ধবার রাতে সিপিআইএমের তরফে সেই ১৩ জন প্রার্থীর নাম তুলে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার একসাথে এক ডজনের বেশি প্রার্থী তুলে নেয় বাম শিবির। চাপে পড়ে কংগ্রেস। তারাও তাদের বাড়তি চার প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
এই জোট জটের মাঝে এ রাজ্যে একসাথে এত সিপিআইএম প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার চমক তৈরি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একটানা পঁচিশ বছরের বাম শাসনে যা ভাবাই যেত না তাই হচ্ছে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর।