অনলাইন ডেস্ক, ১২ জানুয়ারী।। ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন একজন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বুধবার চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ নিয়োজিত বাহিনীর সার্বিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এর আগে ইউক্রেন অভিযানে কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল সের্জেই সুরোভিকিন। যাকে তার নির্মমতার জন্য রুশ গণমাধ্যম ‘জেনারেল আর্মাগেডন’ নাম দিয়েছে। মাত্র তিন মাসেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। গত কয়েকমাস ধরে পিছু হটার পর রাশিয়া ফের ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তাদের অগ্রগতির দাবি করার মধ্যেই এই রদবদল আসল।
জেনারেল গেরাসিমভ ২০১২ সাল থেকে এই পদে রয়েছেন। তিনি সোভিয়েত-পরবর্তী যুগের রাশিয়ান চিফ অফ জেনারেল স্টাফদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ বলছে, পূর্ব ইউক্রেনের লবণ খনির শহর সোলেদারের দখল সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।
ওয়াগনারের প্রধান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, তার বাহিনী সোলেদার দখল করেছে এবং এক ভয়াবহ লড়াইয়ে প্রায় পাঁচশ’ ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে।
বিবৃতিতে প্রিগোজিন আরও বলেন, আমি সোলেদার অঞ্চলের মুক্তি এবং শহরের নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। পুরো শহর ইউক্রেনীয় সেনাদের লাশে ছেয়ে গেছে।
যদিও বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ওয়াগনার গ্রুপের দাবির বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বুধবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সোলেদার রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এ তথ্য তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
ইউক্রেনের সামরিক বিশ্লেষক ওলেহ ঝদানভ বলেছেন, সোলেদারের পরিস্থিতি ‘সঙ্কটজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে’। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। শহরের প্রায় অর্ধেক আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরের কেন্দ্রের কাছে ভয়ঙ্কর লড়াই চলছে।