মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট গ্রেপ্তার, সহিংসতায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন

অনলাইন ডেস্ক, ৭ জানুয়ারী।। মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট এল চাপোর ছেলে ওভিদিও গুজম্যান লোপেজের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সিনালোয়ায় শুরু হওয়া সহিংসতায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯ জন অপরাধী দলের ও ১০ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুয়িস ক্রেসেনসিও সান্দোভাল এসব তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে মেক্সিকোর কুখ্যাত কারাবন্দী মাদক সম্রাট ‘এল চাপো’ গুজম্যানের ছেলে গুজম্যান লোপেজকে আটক করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

এর জেরে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপরাধী দলের সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলি চলে বলে সান্দোভাল জানিয়েছেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর জানিয়েছেন, গুজম্যান লোপেজকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই।

মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় গুজম্যানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরিয়েছিল। কিন্তু সে দেশের আইনি বাধ্যবাধকতার জন্য তাঁকে আমেরিকার হাতে তোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

তা ছাড়া গুজম্যানের বিরুদ্ধে মেক্সিকোতেও একাধিক মামলা চলার বিষয়টিকে তাঁকে দেশে রাখার যুক্তি হিসাবে দেখিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ওভিদিওকে আদালতে তোলা হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের বিচারক গুজম্যানের প্রত্যর্পণের বিষয়টি স্থগিত রাখেন।

ওভিদিওর বাবা ‘এল চাপো’ কুখ্যাত মাদক পাচারকারী। ২০১৫ সালের ১১ জুলাই তিনি জেলের সুড়ঙ্গ দিয়ে মোটরবাইক চেপে পালিয়ে যান। এই ঘটনার চার বছর পর তিনি আমেরিকায় ধরা পড়েন। সেখানে তাঁর জেল হেফাজত হয়।

মেক্সিকোর অপরাধ জগত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ৬৫ বছর বয়সী জোয়াকুইন গুজমান ‘এল চ্যাপো’ নামে পরিচিত, যার আক্ষরিক বাংলা অর্থ ‘পিচ্চি’ বা ‘ছোটো’। তার ছেলে ওভিদিও গুজমানেরও একটি বিশেষ নাম আছে। ‘এল র‍্যাটন’ বা ‘ইঁদুর’ নামে পরিচিত তিনি।

মেক্সিকোর সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সিনালোয়ার রাজধানী কুলিয়াকান থেকে ওভিদিওকে গ্রেপ্তার করে রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে নিয়ে আসে। সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে তাকে রাজধানীতে আনা হয়।

মেক্সিকোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুইস ক্রিসেনসিও স্যান্দোভাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সামরিক বাহিনীর ১০ জন সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। এছাড়া নিহতদের বাকি ১৯ জন গুজমান গ্যাংয়ের সদস্য।

২০১৬ সালে মেক্সিকোর সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত মেক্সিকোর সবচেয়ে শক্তিশালী সন্ত্রাসী গ্যাংটি চালাতেন জোয়াকুইন গুজমান। মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে গুজমান ও তার গ্যাংয়ের উত্থান ঘটেছিল এই সিনালোয়া প্রদেশেই।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?