অনলাইন ডেস্ক, ৯ নভেম্বর।। শুরুতেই দাপট চলে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে। যেন দুর্দন্ড প্রতাপশালী দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লেতে আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব সংগ্রহ। তাতেই ক্ষান্ত হননি তাদের ব্যাটে পাকিস্তান স্পর্শ করে তিন অংকের রান। ম্যাথু হেইডেন যে বাবর ঝড়ের প্রস্তুতের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেটাই সেমিফাইনালে সত্যি করে দেখালেন পাক অধিনায়ক। তাতে জয়ের ভিত শক্ত হয় তাদের। যদিও শেষবেলায় ম্যাচটা প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত শান মাসুদ আর মোহাম্মদ হারিসের দৃঢ়তায় ৭ উইকেটের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠেন তারা।
কিউইদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে দেখা গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। সঙ্গে রক্ষণাত্মক মোড়ক থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় ব্যাট চালান অধিনায়ক বাবর আজমও। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
বৃত্তের বাইরে ফিল্ডারদের উপস্থিতি বাড়লেও থামেনি বাবরের ঝড়। সেমিফাইনালের আগেই যে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাথু হেইডেন। সঙ্গে রিজওয়ানের আগ্রাসন তো ছিলই। তাতে ৭০ বলে শতরান ছুঁয়ে ফেলে দলটি। তাতে আরও একটা ১০ উইকেটের পাক জয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। দলের এই রানের পথে ততক্ষণে বাবর আজমও তুলে নেন নিজের ত্রিশতম ফিফটি।
যদিও সেই ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি তিনি। ফিরে যান পরের ওভারেই। ৪২ বলে ৭ চারে তার তিনি খেলেন ৫৩ রানের একটি ইনিংস। তবে অধিনায়ক আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্ত আগলে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই ওভার পর তার ব্যাট থেকেও আসে আরও একটি অর্ধশতরানের ইনিংস। যেটি তার ক্যারিয়ারের ২৩ তম ফিফটি।
তবে তিনিও ফিফটির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ১৭ তম ওভারের শেষ বলে ট্রেন্ট বোল্টের ডেলিভারিতে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রিজওয়ান। তখনও জয়ের জন্য ১৮ বলে প্রয়োজন ২১ রান। তার আগে একটি-দুটি রান নিলেও বোলের সঙ্গে রানের ব্যবধান ছিলই। তাতে কিছুটা সংশয়ও তৈরি হয়েছিল। তীরে এসে না আবার তরী ডুবে যায় বাবরদের।
তবে অষ্টাদশ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ছক্কা আর চারে ম্যাচ ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন মোহাম্মদ হারিস। তবে ম্যাচটি তিনি শেষ করে আসতে পারেননি। উনিশতম ওভারের শেষ বলে সেন্টনারের বলে ফাবিয়ান অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তার আগে ব্যাক্তিগত ঝুলিতে ২৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান সংগ্রহ করে নেন।
হারিস যখন আউট হলেন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র দুই রান। যা ছিনিয়ে নিতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে। ৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে তারা। সঙ্গে নিশ্চিত হয় তাদের ফাইনালও। আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল। আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচে বিজয়ী দলটাই প্রতিপক্ষ হবে বাবর পাকিস্তানের।