অনলাইন ডেস্ক, ৯ নভেম্বর।। ঋষি সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর একমাসের মধ্যেই তার মন্ত্রিসভায় প্রথম পদত্যাগের ঘটনা উঠে এল। ঋষির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন মন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন। ফলে এটিই ঋষির মন্ত্রিসভায় প্রথম পদত্যাগ হিসাবে উঠে এল। প্রসঙ্গত গ্যাভিনের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই উৎপীড়নের অভিযোগ উঠছিল। আর তা ঘিরেই পদত্যাগ।
প্রসঙ্গত, এক সহকর্মীকে পাঠানো একটি টেক্সট মেসেজই এই পদত্যাগের আসল কারণ হয়ে ওঠে। তারপর থেকেই গ্যাভিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়। যদিও গ্যাভিন তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে তাতেও ক্ষোভের আগুন মেটেনি। গ্যাভিন বলছেন, এই ধরনের অভিযোগ ‘বর্তমান সরকারের ভালো কাজের থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর জন্য করা হচ্ছে।’
তিনি এও বলছেন, যে যেভাবে পুরনো অভিযোগকে সামনে এনে তার চরিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তাও সঠিক নয়। উল্লেখ্য, থেরেসা মে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গ্যাভিন ছিলেন, সেখানের ডিফেন্স সেক্রেটারি। এক মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এক সিনিয়র কর্মীকে সেই সময় ‘গলা কাটার’ মতো হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল গ্যাভিনের বিরুদ্ধে। বহু কনজারভেটিভ প্রতিনিধিই গ্যাভিনের বিরুদ্ধে উৎপীড়ন করার অভিযোগ এনেছেন।
মজা মশকরা ঠাট্টায় অন্যদের হেয়জ্ঞান করার অভিযোগও রয়েছে গ্যাভিনের বিরুদ্ধে। গত মাসেই সেই উৎপীড়নমূলক টেক্সট মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে গ্যাভিনের বিরুদ্ধে। রয়েছে ধমক, চমক দেওয়ার অভিযোগও। যদিও গ্যাভিন উইলিয়ামসন বলছেন, এসবের নেপথ্যে তিনি নেই। তার মতে সরকারের ভালো কাজ থেকে দৃষ্টি সরাতেই এমন উদ্য়োগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এক চেক প্রদান নিয়েও গ্যাভিনের বিরুদ্ধে উঠেছে নানান অভিযোগ। চেক দেওয়া নিয়ে গ্যাভিনের মশকরা সম্পর্কে সরব হয়েছেন এক টোরি সাংসদও। এদিকে, গ্যাভিনের পদত্যাগ গ্রহণ করে ঋষি সুনাক লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমি এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছি। পর পর কনজারভেটিভ সরকারে আপনার প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা আমি জানি। আর পার্টির প্রতি আপনি কতাট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেটাও জানি।’