অনলাইন ডেস্ক, ৩১ অক্টোবর।। রুশ প্রেসিডেন্টের‘ব্যক্তিগত বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত ‘ওয়াগনার গ্রুপ’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য এইচআইভি পজিটিভ এবং হেপাটাইটিস সি রোগে আক্রান্ত রাশিয়ান অপরাধীদের নিয়োগ করা হচ্ছে পুতিনের বাহিনীতে। সাধারণত ওয়াগনার গ্রুপে শারীরিক ভাবে মজবুত ব্যক্তিদেরই নিয়োগ করা হত এতদিন। ওয়াগনারের সদস্যরা অধিকাংশই প্রাক্তন সেনাকর্মী। তবে এবার অসুস্থ অপরাধীদেরও এই গ্রুপে নিয়োগ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে ১০০ জনেরও বেশি অসুস্থ বন্দিকে নিয়োগ করা হয়েছে ওয়াগনার গ্রুপে। তাদের অসুস্থতা চিহ্নিত করতে হাতে একটি করে রঙিন ব্রেসলেট দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, গ্রুপে নিযুক্ত অন্যান্য সৈন্যদের মধ্যে ‘ক্ষোভ’ রয়েছে এই নিয়ে।এর আগে কয়েক সপ্তাহ আগে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন দাবি করেন, যুদ্ধের কৌশল হিসেবে রুশ সৈনিকরা ইউক্রেনের নারীদের ধর্ষণ করছে। এবং এর জন্যে রাশিয়া নিজেদের জওয়ানদের ভায়াগ্রা দিচ্ছে।
এর আগে প্রমিলা বলেছিলেন, ‘নারীদের বেশ কয়েকদিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হচ্ছে। ছোট ছোট ছেলে এবং পুরুষদেরও ধর্ষণ করতে শুরু করেছে রুশ সৈনিকরা। ইউক্রেনের নারীরা এই ভায়াগ্রা সজ্জিত রাশিয়ান সৈন্যদের সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। এটি স্পষ্টতই একটি সামরিক কৌশল।’প্রমিলা প্যাটেন দাবি করেন, শুধু নারী নন, রুশ সেনার যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বহু ইউক্রেনীয় পুরুষ।
এদিকে জাতিসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, রুশ সেনার হাতে নির্যাতিত মানুষদের তালিকায় ৪ বছর বয়সি শিশু থেকে ৮২ বছর বয়সি বৃদ্ধা রয়েছে। দাবি করা হয়েছে, বহু ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের সামনেই নিকটাত্মীয়কে ধর্ষণ করা হচ্ছে এবং তা দেখতে বাধ্য করা হচ্ছে পরিবারের অন্য সদস্যদের।