অনলাইন ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর।। মহিলাদের সঙ্গে অভদ্রতা করলেই রাস্তায় টাঙানো হবে অপরাধীর ছবি সমেত পোস্টার! যোগী আদিত্যনাথের এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ফের নৃশংস গণধর্ষণের শিকার দলিত তরুণী। ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত থাকেনি অপরাধীরা। ওড়না গলায় পেঁচিয়ে খুনেরও চেষ্টা করা হয় ওই তরুণীকে। কেটে নেওয়া হয় জিভও। ওই তরুণী এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের হাথরাস জেলার এই ঘটনায় ফের যোগী রাজ্যের মহিলা নিরাপত্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, ২০ বছরের ওই তরুণী তপশিলি সম্প্রদায়ের। গ্রামের উঁচু সম্প্রদায়ের চার যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। ধর্ষকদের অত্যাচারে গোটা শরীর ক্ষতবিক্ষত। বহু হাড় ভেঙে গিয়েছে। এই ঘটনার পরে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তরুণীকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। প্রয়োজনে তাঁকে বড় হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করতে হবে পারে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নির্যাতিতার ভাইয়ের দাবি, ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে এই ঘটনা ঘটে। সেদিন মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন কুড়ি বছরের ওই দলিত যুবতী। সেখানে হঠাৎ চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী এসে টেনে হিঁচড়ে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর মেয়েকে দেখতে না পেয়ে সন্ধান করা শুরু করেন মা। কিছুটা দূরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ শুরুতে আমাদের সাহায্য করতে চায়নি বলে অভিযোগ তরুণীর পরিবারের। কিন্তু বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় পুলিশ চার পাঁচদিন পরে ব্যবস্থা নেয়। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি, সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছেন তাঁরা। হাথরাসের পুলিশ আধিকারিক প্রকাশ কুমার একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে বাকি তিনজনের নাম পাওয়ার পরে তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।