অনলাইন ডেস্ক, ৪ সেপ্টেম্বর।। ঘরের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলতে নামছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আজ রবিবার রাত সাড়ে ৯ টায় ওল্ড ট্রাফের্ডে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। তবে মাঠে নামার আগে ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হ্যাগের কপালে চিন্তার ভাজ পড়তে বাধ্য।
কারণ শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও শুরুটা হয়েছিল হোঁচট দিয়েই। ড্র দিয়ে শুরুর পরের দুই ম্যাচে হারতে হয়েছিল রোনালদোদের। অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে রেড ডেভিলসরাই একমাত্র দল যারা সবগুলো ম্যাচেই জয় পেয়েছে।
আর্সেনাল কোচ মাইকেল আর্টেটো ম্যাচেস্টারের বিপক্ষে একাদশে কোনো পরিবর্তন আনতে চান না। তবে টেন হ্যাগ শক্তিশালি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অ্যান্থনি মেথুসকে তার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে খেলিয়েই ম্যানইউতে অভিষেক করানোর পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন। অ্যান্থনির অভিষেকের আভাস মিললেও জীবন্ত কিংবদন্তী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে বিতর্ক যেন শেষই হচ্ছে।
ম্যানইউয়ের জয় পাওয়া শেষ তিন ম্যাচেই সিআর সেভেন মাঠে নেমেছিলেন বদলী খেলোয়াড় হিসেবে। আজকের ম্যাচেও মূল একাদশে থাকা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। গোলরক্ষকের ডেভিড ডি গিয়ার পাকপোক্ত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও সম্প্রতি স্লোভাক গোলরক্ষক মার্টিন দুবরাভাকাকে দলে ভিড়িয়েছেন এরিক টেন হাগ।
রাইট ব্যাকে আস্থার প্রতিদান দিয়েছে পর্তুগীজ দিয়েগো ডালট।
এই ম্যাচেও তাকে মূল একাদশে দেখা যেতে পারে। সেন্টারে ব্যাকে আগে থেকেই রাফায়েল ভারানে ছিলেন। তবে সদ্য ম্যানইউতে আসা আর্জেন্টাইন লিসান্দ্রো মার্টিনেজের একাদশের থাকার সম্ভবনা প্রবল। এরিক টেন মিডফিল্ডে অবশ্য আস্থাটা সদ্য দলে ভেড়ানো কাসেমিরোর ওপরেই করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন।
তবে পর্তুগিস মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেসের একাদশে থাকার সম্ভনা প্রবল। কারণ তিন সপ্তাহ আগে ম্যানইউ অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুইয়ারকে যখন প্রথমবার সাইডবেঞ্চে বসানো হয়, তখন অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন ফার্নান্দেসই। ইংলিশ স্ট্রাইকার জেডন সানচো এই মৌসুমে গোলের বানে ভাসছেন। বৃহস্পতিবার লেস্টার সিটির বিপক্ষে জয়সূচক একমাত্র গোলটি তার পা থেকেই এসেছে। আর্সেনালের বিপক্ষে তাই তার একাদশে থাকা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণই নেই।
তবে অ্যান্থনীর অভিষেক হলে কোচ এরিক সানচোর পজিশনে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন। একাদশে আরও একটি নাম প্রবল জোড়ালোভাবে রয়েছে, সেটা অ্যান্থনি এলাঙ্গা। সবশেষ তিন জেতা ম্যাচেই তিনি রোনালদোর জায়গা মাঠে নেমেছিলেন।মার্কাস রাশফোর্ড ফরোয়ার্ড না সামলে পজিশন বদলেছিলেন।
এদিকে গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর সময় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ম্যানইউ ছাড়ার সম্ভবনা প্রবল হয়ে উঠেছিল। তবে এখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায় অন্তত জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ম্যানচেস্টারেই থাকছেন।