স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৬ সেপ্টেম্বর।।কাঞ্চনপুর মহাকুমার অন্তর্গত কাঞ্চনপুর থানা দিন দুটি পৃথক পৃথক জায়গায় দুই ব্যক্তি ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন৷ প্রথমে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটে কাঞ্চনপুর থানাধীন সাতনালা বাজার সংলগ্ণ এলাকায়৷ মৃত ব্যক্তির নাম অনাথ কুমার দাস বাড়ি কাঞ্চনপুর থানাধীন সাতনালা বাজার সংলগ্ণ এলাকায়৷
পেশায় উনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন এবং সাতনালা বাজারে দোকানও ছিল৷ সাতনালা বাজারের নিজ দোকানঘরের পাশে ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন আজ সকালবেলা৷ এলাকাবাসীদের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় কাঞ্চনপুর থানায়৷ কাঞ্চনপুর থানা থেকে ছুটে যান এএসআই সুভাগ্য চাকমাসহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷ উনাদের উপস্থিতিতে মৃতদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য কাঞ্চনপুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ এলাকাবাসীরা জানান সকালবেলা উনাকে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা যায় বাজার এলাকায়৷
হঠাৎ করে তিনি নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শুনে এলাকাবাসীরা বিশ্বাস করতে পারছেন না৷ এলাকাবাসীদের বক্তব্য হঠাৎ কি কারণে তিনি নিজ ঘরে গিয়েই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন উনারা পুলিশের কাছে দাবি জানান পুলিশ যাতে গোটা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে৷ অপর আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে কাঞ্চনপুর থানাধীন শ্রীরামপুর মসজিদ এলাকায়৷
জানা যায়, শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা এরশাদ আলী নিজ বাড়ির খেড়ের ঘরে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন৷ উনি পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং কৃষি কাজ করতেন৷ বাড়ির লোকজন সকালবেলা দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয় কাঞ্চনপুর থানায়৷ এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাঞ্চনপুর থানা থেকে এস আই রাজেশ ভট্টাচার্যী সহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷
উনাদের উপস্থিতিতে মৃতদেহ নামিয়ে নিয়ে আসা হয় কাঞ্চনপুর হাসপাতালের মর্গে৷ ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহগুলি আত্মীয়- পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ পুলিশের প্রাথমিক ধারণা উনারা নিজে নিজেই সুইসাইড করেছেন৷ তবে পুলিশ প্রশাসন গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে৷ এখন দেখা যাক পুলিশি তদন্তে কি বেরিয়ে আসে৷