গাছ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্যা ভূমিকা পালন করে : মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ আগস্ট।। গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বর্তমানে সারা বছরই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বনমহোৎসব কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করা হয়। যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্যা ভূমিকা পালন করে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতকে কার্বন মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই লক্ষ্যকে সফল করতে হলে প্রত্যেককে বৃক্ষ রোপণে এগিয়ে আসতে হবে। আজ অরুন্ধতীনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের আয়োজিত বনমহোৎসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্টানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বৃক্ষরোপণ একটি সামাজিক কর্মসূচি। নির্মল পরিবেশে নিজেদের সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার প্রশ্নে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। আমাদের বেঁচে থাকা অনেকটা নির্ভর করে গাছের উপর। আমরা প্রত্যেকেই জানি গাছ অক্সিজেনের যোগান দেয়।

প্রকৃতির ভারসাম্যও নির্ভর করে গাছগাছালির উপর। আজকাল সামাজিক অনুষ্ঠানে অনেকেই বৃক্ষরোপণ করে থাকেন। পাশাপাশি জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও অনেকে গাছ রোপণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, যতদিন গাছ, অরণ্য থাকবে ততদিন আমরা সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকতে পারবো।

তাই প্রত্যেকে যাতে বৃক্ষরোপণে আরো এগিয়ে আসেন সেই আহ্বান রাখেন তিনি। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণে যাতে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেন সেই পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মহৎ কর্মসূচিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা মনে করিয়ে দেন তিনি।

বনমহোৎসব অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পুর নিগমের কর্পোরেটর অলক রায়, সদর মহকুমার মহকুমা শাসক অসীম সাহা, স্কুলের প্রধান শিক্ষকা সীমা রাণী সরকার, সমাজসেবী অশোক সাহা, সঞ্জয় সাহা, প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এদিন স্কুলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি স্মৃতিস্মারক তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশনায় অংশ নেয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিগণ স্কুলের পাশে বৃক্ষরোপণ করেন।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?