অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জুলাই।। গত শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন ‘তীব্র বমি বমি ভাব’হচ্ছে বলে জানানোর পর তার কার্যালয়ে চিকিৎসকদের দুটি দল ছুটে যান। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জরুরি চিকিৎসার পর পুতিনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে।
বুধবার রাশিয়ার রহস্যময় টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘জেনারেল এসভিআর এর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রাশিয়ার ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিক্টর মিখাইলোভিচ (ছদ্মনাম) ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলটি পরিচালনা করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের ‘জরুরি চিকিৎসাসেবা’ প্রয়োজন হয়। প্রেসিডেন্টের দপ্তরে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জরুরি চিকিৎসা চলে। পরে তার শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে চিকিৎসকরা সেখান থেকে চলে যান। এসভিআর এর দাবি, চিকিৎসকদের পুতিন জানান যে, তার তীব্র বমি বমি ভাব হচ্ছে।
এর ২০ মিনিট পর প্রেসিডেন্টের দপ্তরের উপস্থিত চিকিৎসকদের পাশাপাশি চিকিৎসকদের অতিরিক্ত একটি দলকে জরুরি তলব করা হয়। চিকিৎসকরা পুতিনকে চিকিৎসা দেন এবং তারা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিলেন।
পরে প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটলে তারা পুতিনের চেম্বার ছেড়ে চলে যান। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পুতিন ক্যানসার অথবা পারকিনসনস রোগে আক্রান্ত বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
কিছুদিন আগে রাশিয়ান অনুসন্ধানী গণমাধ্যম দ্য প্রজেক্ট জানায়, গত কয়েক বছরে একজন ক্যানসার চিকিৎসকের কাছে অন্তত ৩৫ বার গেছেন রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে এতটাই উন্মাদ হয়েছেন যে, তিনি অপ্রচলিত এবং আদিম থেরাপিও নিয়েছেন।