স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর।। দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে জিবি হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে ১১সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনায় এফ আই আর জমা পড়ল পুলিশের কাছে।
জিবি হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ১৭সেপ্টেম্বরের বিষয়ে একটি এফআইআর জমা করেছেন এনসিসি থানায়।সুপারের অভিযোগ অনুযায়ী ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জিবি হাসপাতালে কোভিড ইউনিটেক অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় কেউ জুয়াচুরি করেছিল।
বিভাগীয় তদন্তে এই বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। সেই তদন্তের রিপোর্টও অভিযোগপত্রের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালের সুপার পুলিশের কাছে অভিযোগ করে গোটা ঘটনায় পুলিশের তদন্ত দাবি করেছেন।
এনসিসি থানার পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত গত ১১সেপ্টেম্বর রাতে জিবি হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। কোভিড ইউনিটে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটার বিষয়টি রহস্যজনকভাবে প্রথম জানতে পারেন স্থানীয় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
অন্যদিকে হাসপাতালের সুপার বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যের বায়োমেডিকেল ইনস্টলেশন ইঞ্জিনিয়ার রাতুল দে কে ফোন করেছিলেন । খবর পেয়ে ওই রাতে রাতুল দে এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন একসঙ্গে জিবি হাসপাতালে ছুটে যান। বিধায়কের উপস্থিতিতে রাতুল দে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করেন। সঠিক সময়ে অক্সিজেন চালু না হলে অনেক রোগীর মৃত্যু হতে পারত বলে দাবি করেছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং রাতুল দে।
ওই ঘটনার পর শুরু হয় রাজনৈতিক তোড়জোড়। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন কিভাবে ওই খবর পেয়েছিলেন। কেন রাতুল দে সেখানে সুদীপ রায় বর্মন এর সঙ্গে গিয়েছিলেন । এসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক সহ শাসকদলের একটা অংশ। অভিযোগ ওঠে কেউ পরিকল্পিতভাবে জিবির অক্সিজেন সরবরাহ প্রথমে বন্ধ করে এবং পরে তা পুনরায় চালু করার নাটক মঞ্চস্থ করেছিল।
পরবর্তীকালে পৃথক পৃথকভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার রাতুল দে এবং সংসদ প্রতিমা ভৌমিক। ঘটনার এক সপ্তাহ বাদে ১৭ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করে তদন্তের দাবি করলেন হাসপাতাল সুপার। এই তদন্ত আগামী দিনে কোন দিকে মোড় নিতে পারে তানিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা।