স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ সেপ্টেম্বর।। বর্তমানে রাজ্যে ৩ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ সামাজিক ভাতা পাচ্ছে। আগে এই ভাতা বাবদ মাসিক পেত ৭০০ টাকা করে। তাতে বছরে ব্যয় হত ৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমান সরকার এই ভাতা বাড়িয়ে করেছে ১০০০ টাকা। এতে করে বছরে ব্যয় হচ্ছে ৪২০ কোটি টাকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মানুষদের যাতে অসুবিধা না হয় তাঁর জন্য দুই মাসের অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ৭০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ভাতা পাচ্ছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার জন। এই করোনার সময় অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়েছে ।
এর জন্য অতিরিক্ত গেছে ১৪ কোটি টাকা। মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে ৩০ হাজার নতুন ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী সভা এই নতুন ভাতার অনুমোদন দেয়। ২০ টি ক্যাটাগরিতে এই ভাতা দেওয়া হবে। তাঁর জন্য বাছাই কাজ শুরু হবে অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। সি ডি পি ও অথবা ব্লক অফিসে ফর্ম জমা দিতে হবে নথী সহ।এগুলি জমা পড়লে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান , ভিলেজের ক্ষেত্রে বিএ সি, সহ অন্যান্য চেয়ারম্যান ও মেয়র স্ক্রুটিনি ঠিক করবে। জেলা বাছাই কমিটি তা চূড়ান্ত।
এর জন্য জেলা ভিত্তিক চেয়ারম্যান হয়েছেন বিধায়ক ডাঃ দিলিপ দাস, পরিমল দেববর্মা, পিনাকী দাস , ভগবান চন্দ্র দাস, প্রেম কুমার রিয়াং , সুভাষ চন্দ্র দাস, রামপদ জমাতিয়া ও শঙ্কর রায় । বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানান শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। ১ অক্টোবর থেকে ক্যাম্প মোডে ৩১ অক্টোবড় পর্যন্ত এই কাজ চলবে। এরপর কেউ বাদ থাকলে ৩ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে পারবে। ডিসেম্বর মাস থেকে যাতে শুরু করা যায় তাঁর জন্য এই উদ্যোগ বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে মহিলা সংক্রান্ত চিকিৎসার বিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কোভীড আক্রান্ত হন গায়নো সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন ১১২ জন।
এর মধ্যে ৭৩ জনের নর্মাল ডেলিভারি হয়েছে। ২৭ জনের সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে। ৪ জনের মেজর ডেলিভারি হয়েছে। মাত্র দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ১০০ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে। এই পরি সংখ্যান অনুযায়ী বোঝা যায় চিকিৎসকেরা আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোভীড নাইটিন নিয়ে তিনজন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্য রয়েছেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে আসেন তারা। জিবি ছাড়া একাধিক স্থানে সফর করেছেন তারা। বুধবার গোমতী এবং সিপাহী জলা সফর করেছেন। একজন পিপিইকিট পড়ে জিবি কোভীড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে যান। প্রাথমিক অনুমানে তারা বলেছে বহু জায়গায় মানুষ মাস্ক পরিধান করছে না। যাতে করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পেছনে মূল কারনে রোগীরা শেষ সময়ে এসে জিবিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে করে তাদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না।
এর জন্য রাজ্য সরকার ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর এই দুই দিন মাস্ক বিহীনদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের জরিমানা করা হবে। স্পেশাল ড্রাইভ দিচ্ছে সরকার। মাস্ক না পারার জন্য ২০৫১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ২৬ জনের বিরুদ্ধে এফ আই আর হয়েছে। ফাইন আদায় করা হয়েছে ১৮ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮০০। লক ডাউন, কার্ফু অমান্য করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০, ৫৬০ জনেক, ৮২৬ টা যান বাহন সিজ করা হয়েছে। ৯৭ জনের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হয়েছে। এই সময়ে মোট ফাইন আদায় করা গেছে ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৫৫ টাকা। ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।অনলাইন ভর্তি এই পন্থা নতুন।
২২ টি ডিগ্রি কলেজে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আবেদন করেছে ২৩ হাজার ২৩ টি। প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় ১৩ হাজার ৮৬৪ জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে। সিট ক্যাপাসিটি পাস কোর্সে রয়েছে ২০ হাজার । অনার্সে ৬ হাজার। ৬০ হাজার রয়েছে কম্বিনেশন । তৃতীয় মেধা তালিকা পর্যন্ত প্রকাশিত হবে।
ভর্তির জন্য একটি প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। তাঁর জন্য হেল্প লাইন নাম্বার দেওয়া আছে। স্পট এডমিশনের ব্যবস্থা থাকবে। পছন্দ মত কলেজ পাবেন ছাত্র ছাত্রীরা। স্বচ্ছ নীতির জন্য এটা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। ১০৩২৩ নিয়ে মন্ত্রী বলেন ক্যাবিনেটে মঙ্গলবার ওঠার কথা ছিল। কিন্তু জটিল প্রক্রিয়া । তাই সমস্ত কিছু বিবেচনা করে দ্রুত তোলা হবে বলে জানান তিনি।