অনলাইন ডেস্ক, ৩ জুন।। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং ভিন রাজ্য থেকে আসা দুই শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। বিগত কয়েক দিন ধরে কাশ্মীরের (Kashmir) উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে ঘুম উড়েছে নয়া দিল্লির। তড়িঘড়ি তলব করা হল উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহাকে। আতঙ্কের দিন ফিরেছে জম্মু-কাশ্মীরে৷
গতকালই এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে খুন করে জঙ্গিরা। এরপর দুই পরিযায়ী শ্রমিককে খুন করে। এর জেরে কেন্দ্র সরকারের অধীনে কর্মরত সমস্ত কর্মচারীরা ধীরে ধীরে কাশ্মীর ছাড়ছেন। একদিনে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা পুরাতন দিনের কথা মনে করাচ্ছে কাশ্মীরকে। কাশ্মীরে কোথাও সরকারী কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ জায়গা নেই৷ ৩০ থেকে ৪০ টি পরিবার শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। এমনটাই জানাচ্ছেন সরকারী কর্মচারীরা। তাঁদের বক্তব্য, এখানে নিরাপত্তা রক্ষীরাই সুরক্ষিত নয়। তাহলে কী করে তাঁরা সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে? আরও পরিবার একে একে কাশ্মীর ছাড়বেন।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে নেয় কেন্দ্র সরকার৷ তারপর থেকে কড়া নিরাপত্তা জারি ছিল জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে৷ দীর্ঘদিন পর ধীরে ধীরে নিরাপত্তা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জম্মু-কাশ্মীরের বিনিয়োগ, শিল্প এবং পরিকাঠামোগত উন্নতির কথা বারবার বলছে সরকার৷ কিন্তু নিরাপত্তা শিথিল হতে আতঙ্কের কালো চাদরে ছেয়ে গেছে গোটা জম্মু-কাশ্মীর৷
গত কয়েক মাস ধরেই উপত্যাকায় জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের খুন করছে। কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল খুনের পরেই উপত্যকায় সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। নিরাপত্তার দাবীতে পথে নামতে দেখা গেছে পণ্ডিতদের৷ এরই মধ্যে মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষিকা রজনীর হত্যার পর নিজ নিজ জেলায় পোস্টিং চাইছেন। এর ওপর ব্যাঙ্ক কর্মচারী এবং দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পর শহর ছাড়ছে বহু পরিবার।