অনলাইন ডেস্ক, ১ জুন।। ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে দু’দেশের সরকারের কয়েক দফা আলোচনার পর এক নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন – মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হল আজ। সম্প্রতি সংস্কার করা হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল লাইন দিয়ে চলবে মিতালী এক্সপ্রেস। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৭শে মার্চ, ২০২১ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা চলাচলকারী মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন। আজ নতুন দিল্লিতে রেল ভবন থেকে পতাকা নেড়ে রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং বাংলাদেশের রেল মন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন মিতালী এক্সপ্রেসের ভার্চ্যুয়াল সূচনা করলেন। অতিমারী সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার জেরে আগে ট্রেনটির যাত্রা শুরু করা যায়নি।অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রসঙ্গে শ্রী বৈষ্ণব বলেন, মিতালী এক্সপ্রেস দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে, বন্ধন আরও দৃঢ়তর করতে এবং বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলস্টোন। এই উন্নয়নে আরও গতি সঞ্চার করেছে দু’দেশের উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। দু’দেশের রেলের মধ্যে বহু রকমের সহযোগী কাজকর্ম চলছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্যে আমাদের এই মুহূর্তের সুযোগ গ্রহণ করা উচিৎ। মিতালী এক্সপ্রেস চলবে সপ্তাহে দু’দিন। রবিবার ও বুধবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পৌঁছবে ঢাকা। সোমবার ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে পরদিন সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৯৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬১ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখন্ড। মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেসের মতো এলএইচবি (LHB) কোচ ব্যবহার করা হবে মিতালী এক্সপ্রেসে। থাকবে ৪টি ফার্স্টক্লাস এসি, ৪টি এসি চেয়ারকার এবং ২টি পাওয়ার কার। ভাড়া হবে ৪৪ মার্কিন ডলার এসি ফার্স্ট (কেবিন) স্লিপার ক্লাসের, ৩৩ মার্কিন ডলার এসি ফার্স্ট (কেবিন) সিটের এবং ২২ মার্কিন ডলার এসি চেয়ার কারের জন্য। মিতালী এক্সপ্রেস উত্তর বঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের সঙ্গেও বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পর্যটনকে আরও উৎসাহ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ট্রেনের মাধ্যমে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারত হয়ে নেপাল যাওয়াও সহজতর হবে। মিতালী এক্সপ্রেস ছাড়াও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলে কলকাতা – ঢাকা – কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা – খুলনা – কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস। কোভিড অতিমারীর কারণে বন্ধ থাকলেও গত ২৯শে মে, ২০২২ থেকে দুটি ট্রেনই পুনরায় চলাচল শুরু করেছে।