মালয়েশিয়া মুরগি রপ্তানি বন্ধ করায় বিপদে সিঙ্গাপুর

অনলাইন ডেস্ক, ১ জুন।। সিঙ্গাপুরের জাতীয় খাবার হল মুরগির মাংস আর ভাত। সাদা ভাত আর জ্বাল দেয়া মুরগির মাংস, সঙ্গে সবজি- এই হলো তাদের প্রায় প্রতিদিনের খাবার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মুরগির চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হয়। বিপদটা সেখানেই।

সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সির হিসাব মতে, দেশটি মালয়েশিয়া থেকে ৩৪ শতাংশ, ব্রাজিল থেকে ৪৯ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২ শতাংশ মুরগি আমদানি করে থাকে।

ইউক্রেন যুদ্ধ, খারাপ আবহাওয়া ও করোনা মহামারির কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় মালয়েশিয়ায় মুরগির খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। সে কারণে বুধবার থেকে মুরগি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।

মুরগি ভাত বিক্রি করে এমন দোকানের মালিক ডেনিয়েল তান বলছেন রান্নার জন্য তিনি মালয়েশিয়া থেকে জীবন্ত মুরগি কিনে আনেন। কিন্তু এখন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় তাকে হয়ত ব্রাজিল থেকে আসা বরফে জমানো মুরগির মাংস ব্যবহার করতে হবে, যা খাবারের স্বাদ কমিয়ে দিবে। সে কারণে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তান।

মুরগির খাবার হিসেবে সাধারণত সয়াবিন ও শস্যকণা দেয়া হয়। মালয়েশিয়া এগুলো আমদানি করে৷ বর্তমানে এগুলোর সংকট দেখা দেয়ায় বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু বিকল্প খাবারের মান কম হওয়ায় মুরগি সময়মতো বড় হচ্ছে না। এতে খামারিরা বিপদ পড়ছেন।

খামার মালিক সায়জুল আব্দুল্লাহ সামিল জুলকাফলি জানান, তিনি সাধারণত বছরে সাতবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেন। কিন্তু এবার মুরগির খাবারের মান কম হওয়ায় মুরগি সময়মতো বড় হতে পারছে না বলে তাকে হয়ত পাঁচবার মুরগি বিক্রি করতে হবে।

জুলকাফলি বলেন, করোনা মহামারির কারণে এমনিতেই খামার পরিচালনা খরচ বেড়ে গেছে। তার সঙ্গে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা যোগ হওয়ায় খামারিদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।

মালয়েশিয়া সরকার অবশ্য খামার মালিকদের জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?