স্টাফ রিপোর্টার, আমবাসা, ২৯ মে।। চলতি মাসের ১৪ তারিখ রাতে বিজেপির করমছড়া মন্ডল যুব মোর্চার সভাপতি মিহির দাস তার সঙ্গীদেরকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতির দ্বারা আক্রান্ত হন এবং ঘটনাস্থলেই মিহির দাস এর মৃত্যু হয়।
অন্যান্যরা গুরুতর আহত হন।আহতদেরকে জেলা ও জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনায় গোটা লংতরাইভ্যালি মহকুমায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মিহির দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে মনু থানায় মামলা করা হয়। মামলার নং-১৬/২০২২। মামলা হয় আইপিসির ৩৪১/১৪৮/১৪৪/৩০২/ ১২০(বি) ধারায়।
মামলার পর থেকেই দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, জেলার বিজেপির নেতৃবর্গ মিহির দাসের বাড়িতে যান সমবেদনা জানান ও আর্থিকভাবে সহায়তা করেন। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন দুষ্কৃতকারীদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য। সেই মোতাবেক আমবাসা মহকুমার এসডিপিও সুমন মজুমদারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে আনা হয়।
সুমন মজুমদার এর নেতৃত্বে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে দুষ্কৃতকারীরা কলকাতার কালাইয়াচক থানাধীন এক ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন। সেই গোপন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে রাজীব দাস, ঝুটন পাল, বিকাশ দেবনাথ, সুদীপ দাস এবং সুশান্ত দেকে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে মনু থানায় নিয়ে আসে ত্রিপুরা পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদেরকে আদালতে পেশ করা হয় এবং রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত আজ পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ দিনের রিমান্ড দেয় অভিযুক্তদের। রিমান্ডে এনে আসামীদের এসডিপিও সুমন মজুমদার এর নেতৃত্বে পুলিশ আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এসডিপিও সুমন মজুমদার জানিয়েছেন এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হবে। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হলে অনেক গোপন রহস্য বের হয়ে আসবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।