অনলাইন ডেস্ক, ২৭ মে।। হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে ফের একবার শিরোনামে উঠে এল কর্ণাটক। হাইকোর্ট এই মামলার রায় দেওয়ার পরও তা মানতে রাজি নয় মুসলিম পড়ুয়ারা। সম্প্রতি ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ আদালতের আদেশে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না। আর এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা।
ছাত্রীরা বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক ও উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে। তাঁরা ডিগ্রি কলেজের পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ কলেজে কার্যকর করা যাবে না। হিজাব পরা ও না পরা নিয়ে কলেজে বিক্ষোভ হয়। একদিকে মুসলিম ছাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে উপাচার্য ও জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয়, অন্যদিকে এবিভিপিও হিজাব সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। এবিভিপির দাবি, উচ্চ আদালতের রায়ের পরও মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে কলেজে আসছে এবং কলেজ প্রশাসন তাতে আপত্তি করছে না।
তাঁরা হুঁশিয়ারি দেয় যে যদি মুসলিম পড়ুয়ারা আবারও কলেজে হিজাব পরে আসে তাহলে তাঁরাও গেরুয়া স্কার্ফ পরিধান করবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরেই রাজ্যের উদুপি জেলার গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজের কিছু পড়ুয়া অভিযোগ করে যে তাদের হিজাব পরার জন্য ক্লাসে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালীন কয়েকজন পড়ুয়া দাবি করেন, হিজাব পরার জন্য তাঁদের কলেজে ভর্তি হতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার জল গড়াউ উচ্চ আদালতে যায়। এরপর কর্ণাটকের হাইকোর্ট জানায়, রাজ্যের কোনো শিক্ষা প্রতিস্থানে পড়ুয়ারা হিজাব পরতে পারবে না।