অনলাইন ডেস্ক, ১৪ সেপ্টেম্বর।। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮ হাজার ফুট উঁচুতে থাকা পর্বত শৃঙ্গে আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে কার্গিলের যুদ্ধ পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পূর্ব লাদাখের পর্বত শৃঙ্গ হাড় হিম করা ঠান্ডা কোন বড় ব্যাপার নয়। বরফের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে লড়তে সক্ষম সেই প্রমাণ তারা আগেই দিয়েছিল।
qপূর্ব লাদাখে মূল নিয়ন্ত্রণ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে এখনই চিনের সঙ্গে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।ফলে শীতকালেও এই সামরিক ঘাঁটিগুলিতে থাকতে হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।ঠাণ্ডা সহ্য করার অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনাবাহিনী থাকার জেরে তারা চিনের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। সিয়াচেনে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রহরা দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর রয়েছে।
হাড় হিম করা ঠান্ডা কিভাবে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাতে হয় এবং যুদ্ধ পরিচালনা করতে হয়।সেই অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে। এমন ধরনের অভিজ্ঞতা চিনা সেনাবাহিনী নেই।ফলে এই দিক থেকে চিন থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত।প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তান লাগোয়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত ঠান্ডায় ক্রমাগত প্রহরা দেওয়ার ফলে এই দুর্লভ অভিজ্ঞতা ও অসাধারণ সহ্য ক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে ভারত।
পূর্ব লাদাখ শৃঙ্গ- এ যেসব ভারতীয় সেনা ছাউনি রয়েছে সেখানে ইতিমধ্যেই খাদ্য, রসদ, শীতকালীন বস্ত্র, ওষুধ, গোলাবারুদ বিপুল পরিমাণে সরবরাহ করে চলেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মার্কিন মুল্লুকের হাওয়ার্ড কেনেডি স্কুলের ওয়েলফেয়ার সেন্টার ফর সাইন্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের এক রিপোর্টে পার্বত্য অঞ্চলের যুদ্ধে চিনের তুলনায় ভারতকে এগিয়ে রাখা হয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে তারা দীর্ঘ সময় ধরে পার্বত্য অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতাকে
বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সামরিক পরিভাষায় ‘অ্যাক্লিমাটাইজ’ করার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনী বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে।এর সুফল ভারতীয় সেনা আগামী দিনেও পাবে। চিনের প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট ভারতের থেকে বেশি হতে পারে কিন্তু অভিজ্ঞতার নিরিখে ভারত এক্ষেত্রে এগিয়ে।এই রিপোর্টে ভারতীয় বায়ুসেনাকে চিনের বায়ুসেনার তুলনায় এগিয়ে রাখা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০, সুখোই ৩০ এম কে আই যুদ্ধবিমানকে চিনের থেকে এগিয়ে রাখা হয়েছে।ভারতের কাছে বিপুল পরিমাণে সমস্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে যুদ্ধ করতে সক্ষম যুদ্ধবিমান রয়েছে।
চিনের কাছে কয়েকটি মাত্র এমন ধরনের যুদ্ধবিমান রয়েছে। রাফাল চলে আসাতে পাল্লা ভারী ভারতের দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে কার্গিল যুদ্ধের মতন অভিজ্ঞতা ভারতের রয়েছে। সম্প্রতিককালে কোন রকমের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা চিনের নেই। ১৯৭৯ সালে শেষবার চিন যুদ্ধ লড়েছিল।