অনলাইন ডেস্ক, ২৫ মে।। মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তারা অন্য দেশে আশ্রয় নিতে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।
মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দলের সদস্য ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে শনিবারের ওই দুর্ঘটনায় ৩৫ জন প্রাণে রক্ষা পান এবং ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আইয়াওয়ার্দি অঞ্চলের একজন বাসিন্দা বলছেন, ইয়াঙ্গুন থেকে ১৮০ মাইল পশ্চিমে পাথেইন শহরতলির কাছে দুজন কিশোর বালকসহ ১৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের সামরিক সরকার তথ্য প্রবাহের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে বলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথাগুলো বলেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআর এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছে নিহতদের মধ্যে শিশুরাও ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়ে, নৌকাটি গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে যায় এবং দুই দিন পরে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আইয়াওয়ার্দি অঞ্চলে প্রতিকুল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয় এবং ডুবে যায়।
মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘুরা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমারে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়ে গেছে যারা বাস্তুহারা অবস্থায় নোংরা শিবিরগুলোতে বাস করছে।
ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রায় ৬৩০ জন রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সমুদ্র যাত্রার চেষ্টা করেছে। যাদের ৬০ শতাংশ হচ্ছে নারী ও শিশু।