অনলাইন ডেস্ক, ২৪ মে।। টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানালেন, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে তার দেশ হস্তক্ষেপ করবে এবং লড়াইয়ে শামিল হবে।
তাইওয়ানের স্বায়ত্তশাসনের যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি রয়েছে। এ বিষয়ে ১৯৭৯ সালে দুই দেশ চুক্তিও করে।
সোমবার সাংবাদিকেরা বাইডেনকে প্রশ্ন করে, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে। বাইডেন জানান, সে ক্ষেত্রে তার দেশ সরাসরি তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে। যুদ্ধে অংশ নিয়ে তাইওয়ানকে সাহায্য করবে। কারণ, এ বিষয়ে তারা চুক্তিবদ্ধ।
বাইডেনের এই বক্তব্য কূটনৈতিক মহলে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে সত্যিই কী সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেওয়ার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র? তবে চুক্তিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, তার জন্য সবরকম সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধের কথা কোথাও বলা নেই।
বাইডেন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর তার আশঙ্কা আরও বেড়েছে। ইউক্রেনকে সাহায্য করা হচ্ছে, তাইওয়ানকেও সাহায্য করা হবে।
বর্তমানে চারদিনের এশিয়া সফরে আছেন বাইডেন। দুইদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় থেকে সোমবার বিকেলে তিনি টোকিও পৌঁছান। সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোয়াডের বৈঠক।
বাইডেনের এই মন্তব্যের পর পেন্টাগনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অস্টিন জে ব্লিঙ্কেন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতি বদলায়নি। তাইওয়ানকে সবরকম সাহায্যের কথাই বলেছেন বাইডেন। সম্প্রতি ইউক্রেন-যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অস্টিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নীতিতে বদল ঘটেনি। এবং প্রয়োজনে তাইওয়ানকে অস্ত্র দিয়েই সাহায্য করা হবে।
এ দিকে বাইডেনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। তারা জানিয়েছে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই। তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্যা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র তা নিয়ে মন্তব্য করে ভুল বার্তা দিচ্ছে। তারা যুদ্ধে নামলে চীনও যে ছেড়ে কথা বলবে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।