অনলাইন ডেস্ক, ২৩ মে।। গার্লফ্রেন্ডের শখ আহ্লাদ পূরণ করতে গিয়ে শেষমেশ করুণ পরিস্থিতি হল কয়েকজন যুবকের। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পুলিশ বাইক চোরদের একটি গ্যাংকে গ্রেফতার করেছে যারা তাদের বান্ধবীদের শখ পূরণের জন্য চুরি করত।
আশ্চর্যের বিষয় হল, এই চক্রের সব চোরই যথেষ্ট শিক্ষিত। বাইক চুরি করে তার জাল নথি তৈরি করে তারপর খুব কম দামে মানুষের কাছে বিক্রি করত তারা। এই বাইক চোর চক্রের কিংপিন বিবেক পাল-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ এই চক্রের কাছ থেকে ২৪ টি চোরাই বাইকও উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, গত তিন বছর ধরে বাইক চুরির ঘটনা ঘটছিল বাইক চোর চক্রটি। শুধু তাই নয়, ধৃত চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে গাড়ির জাল নথি তৈরির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ-সহ আরও বেশ কিছু সামগ্রী। চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বান্ধবীদের শখ পূরণ করতেই তারা চুরি করত।
গোটা দেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছিল, সেই সময় বহু মানুষকে কাজ হারাতে হয়েছিল। লকডাউনে তারা তাদের কাজ হারিয়েছিল যার পরে এই লোকেরা আর্থিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এর পরেই তারা বাইক চুরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই গ্যাংয়ের কিংপিন বিবেক পাল, তার সহযোগী মনীশের সঙ্গে বাইক চুরি করতে শুরু করে, যার পরে এই চক্রের আরও চার সদস্যও যোগ দেয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়া এই চক্রটি প্রয়াগরাজ শহর ও তার আশপাশের এলাকা থেকে বাইক চুরি করত।
এই চক্রের সকল সদস্যের প্রত্যেকের একজন করে বান্ধবী ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। এই গ্যাংয়ের প্রধান কিংপিন বিবেক পাল বিএসসি পড়েছেন এবং তার সঙ্গী মনীশও স্নাতক। গ্রেফতার হওয়া চক্রের অন্য সদস্যরাও শিক্ষিত। বাইক চোরের এই দলটি চুরি যাওয়া বাইকগুলি খুব কম দামে বিক্রি করত। সত্তর থেকে আশি হাজার টাকার বাইকটি জাল নথি তৈরি করে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
প্রয়াগরাজের এসএসপি অজয় কুমারের মতে, যে দলটি বাইকটি চুরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুরি করে অর্জিত সম্পত্তি চিহ্নিত করে বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাইক চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিছু জাঙ্কির নামও উঠে এসেছে, যেখানে চুরি যাওয়া বাইকটি কেটে ফেলা হত। তাদের সবার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএসপি অজয় কুমার সিভিল লাইনস এবং কর্নেলগঞ্জ থানার পুলিশকে ২৫,০০০ টাকা করে পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন, যারা এই চক্রের সন্ধান পেয়েছে।