অনলাইন ডেস্ক, ১৮ মে।। টিকাসহ কোভিডের ওষুধ বিতরণের জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। পাশাপাশি সম্ভাব্য রোগীদের খুঁজে বের করতে ১০ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। জ্বর এবং করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা তিন লাখ ৯২ হাজার ৯২০।
তবে সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১২ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিযোগ করেছে, তাদের কাছে সব রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না।
গত বুধবার উত্তর কোরিয়ায় প্রথম সরকারিভাবে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করার পর দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দেশটিতে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিম জং উন করোনা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলা করতে দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণেই সেনাবাহিনীর মেডিকেল ইউনিটকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী শহরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে সেনাদের।
বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে জিরো কোভিড পলিসি নিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। দেশের সীমান্ত বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। দেশের ভেতরেও কঠোর নিয়ম চালু করা হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের জনগণকে উত্তর কোরিয়া কোনো কোভিড-১৯ টিকা দেয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া একের পর এক করোনার ঢেউ দেখলেও উত্তর কোরিয়া বরাবরই জানিয়ে এসেছে, সেখানে করোনার সংক্রমণ ঘটেনি। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া প্রথম জানায় যে, সেখানে একজনের শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া গেছে।
তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে বুধবার প্রথমবারের মতো কোভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটি উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়। এদিনই করোনায় দেশটিতে ৬ জন মারা যান। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৫৬ জনের করোনায় মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।