হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক , ১৭ মে।। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতির। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই অস্ত্র পরীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে স্থানীয় সময় গত শনিবার ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয় বলে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী।

বি-৫২ বোম্বার এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে ‘এআরআরডব্লিউ’ নামে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এয়ারক্রাফট থেকে ছোড়ার পর ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। হাইপারসনিক গতি উঠেছে, যা ছিল শব্দের গতির চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।

এর আগে মার্চের মাঝামাঝিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আরও একটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন ওয়াশিংটন নেতৃত্বাধীন ত্রিদেশীয় (অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) নিরাপত্তা জোটের মধ্যে সম্মিলিতভাবে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা চলছিল।

বর্তমান অস্ত্র প্রতিযোগিতায় হাইপারসনিক অস্ত্র অর্জনের প্রয়োজনীয়তা শক্তিশালী দেশগুলোর জন্য বাড়ছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই গতিসম্পন্ন যে, এগুলোকে ট্র্যাক করা বা রোখা অনেক কঠিন।

ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরুর পর দেশটি বেশ কয়েকবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর মধ্যে চলতি মাসের শুরুতে ওডেসা অঞ্চলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে।

ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এ ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘কিনজাল’। ‘ড্যাগার’ নামেও পরিচিত। রাশিয়ার দাবি, কিনজালের গতি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিয়ে আসা পেন্টাগনের দাবি, কিয়েভের বিরুদ্ধে মস্কোর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলাতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলে দেশটির আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা বেশ কয়েকটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে অস্ত্রের গতির বিষয়টি ছাড়া তাৎপর্য কিছু তারা দেখতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত মস্কো যে কয়টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তাতে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি বদলানোর মতো প্রভাবও দেখা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের আরেক প্রতিপক্ষ চীনও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত অক্টোবরে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। বেইজিং জানায়, তারা যেসব অস্ত্র পরীক্ষা করেছে তাতে হাইপারসনিক কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?