অনলাইন ডেস্ক, ১৬ মে।। বিয়ে প্রত্যেকের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রাচীনকাল থেকে সামাজিক এবং ধর্মীয় ওই দিক দিয়েই বিয়ের মাধ্যমে শারীরিক মিলনের বৈধতা লাভ করে আসছে। ছেলের বয়স ২৩। কিন্তু আপনি তাকে বিয়ে দিচ্ছেন না। কেননা আপনার মনে হয় আপনার ছেলে এখনো অনেক ছোট রয়েছে। হ্যাঁ অবশ্যই আপনার ছেলে আপনার কাছে অনেক ছোট রয়েছে। কিন্তু সে নিজেই জানে সে কতটা বড় হয়ে গেছে। কিন্তু তা আপনার কাছে মুখ ফুটে বলার সাহস পাচ্ছে না। কেননা বলতে গেলে আপনার চেয়ে অধিক শরম সেই পাবে। আপনার ধারনা সে এখন বিয়ে করলে বউকে খাওয়াবে কি।কিন্তু বিয়ের পূর্বে কি মেয়েটা কোনদিন না খেয়ে ছিল! অবশ্যই না।প্রাপ্ত বয়স হলেই ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিন। কেননা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও যখন বিয়ে দিচ্ছেন না তখন আপনার ছেলের যে কি ধরনের বড় বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা আপনার ধারণারও বাইরে। আজকের এই প্রতিবেদনে বিয়ে করার সুফল ও কুফল সম্পর্কে বলা হয়েছে।
সুফলঃ বিয়ে মাধ্যমে একটি ছেলের জীবনের টেনশন অর্ধেক হয়ে যাবে। তার বিয়ে হয়েছে মানে তার গার্লফ্রেন্ডের ও তার সাথে বিয়ে হয়ে যাবে। রোজ রোজ গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে যাওয়ার টেনশনটা তার মাথা থেকে একেবারে দূর হয়ে যাবে। বর্তমান ছেলেমেয়েরা তাদের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বিষণ্ণতায় ভোগেন। কেননা কেউই চান না তাদের প্রিয় মানুষটিকে হারাতে। বিয়ের পর মানুষ গোছালে হয়। এই বয়সের ছেলেরা খুব অগোছালো থাকে। এবং তারা চায় এই বয়সে তাদের পাশে কেউ এসে তাদের জীবনটাকে গুছিয়ে দিয়ে যাবে। আর একমাত্র স্ত্রী পারে অগোছালো জীবনকে গোছাতে। ডেটিংয়ের পেছনে যা খরচ হতো তা দিয়ে দুটি মানুষ দিব্যি জীবন চালিয়ে নিতে পারবে।
পর্নোগ্রাফি থেকে মুক্তি পাবে। বর্তমান সমাজের যুবক যুবতীর সবচাইতে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে পর্নোগ্রাফি। আর বিয়ের মাধ্যমেই পারে এ সমস্যা থেকে সমাধান করতে। এবং একটি বাবার জন্যও কিছু ভালো দিক রয়েছে। অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের জন্য বাবা-মা সব সময় খুব চিন্তিত থাকেন। কারনা এই বয়সের ছেলেমেয়েরা খুব উত্তেজিত ভাবে থাকেন। কখন কোন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে সেই চিন্তায় সবসময় চিন্তিত থাকেন। এবং বিয়ে করিয়ে দিলে এই চিন্তা থেকে মুক্তি থাকা যায়।
কুফলঃ হয়তোবা আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে, লোকে কানাঘুষা করতে পারে,ছেলে হয়তো বা পুরোপুরি আপনার কন্ট্রোলে নাও থাকতে পারে। তবে ছেলের কন্ট্রোলের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার শিক্ষার ওপর। আপনি যদি ছেলেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেন তাহলে অবশ্যই কখনো আপনার সন্তান আপনার কন্ট্রোলের বাইরে যাবে না। আর যদি আপনি চামচামি করতে শেখান তাহলে অবশ্যই আপনার সন্তান চামচামি করে, ও হোক বউ এর বা হোক মায়ের । আর যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেন তাহলে অবশ্যই কিভাবে মা ও বউ কে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাতা জানা আছে।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার উপর। যদি আপনি সমাজে কিভাবে মুখ দেখাবেন এই কথা চিন্তা করে ছেলেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তাহলে তাই করুন। আর যদি চান ছেলেকে দিনের বেলা বিষন্নতা এবং রাতের বেলা বিভিন্ন খারাপ কাজে থেকে রক্ষা করতে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব বয়স হলে ছেলের বিয়ে দিয়ে দিন। বিয়ের মাধ্যমে কেউ না খেয়ে থাকে না। প্রত্যেকের রিজিকের ব্যবস্থা উপরওয়ালা করে দেয়।খাবারের ভারটা নাহয় এই বিষয়ে উপরওয়ালার হাতে ছেড়ে দিন। আপনারা যারা বড় ভাই বোন কিংবা বাবা-মা রয়েছেন তারা আজ থেকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো খেয়াল করবেন।
এমন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে কখনোই বিয়ের বিষয়ে পরিবারের কাছে আগ্রহ করে বলতে পারেনা। তাই গার্ডিয়ান হিসেবে বড় ভাই বোন কিংবা পিতা-মাতাকেই এই বিষয়গুলো চিন্তা-ভাবনা করে রাখতে হবে।