স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ১৫ মে।। ইলেকট্রিক খুঁটির সাথে দ্রুতগামী ইকো গাড়ির সজোরে ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত গাড়ি চালক, আহত তিন। এর মধ্যে আহত এক যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন নেতাজি নগর স্থিত আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের লোকনাথ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় শনিবার গভীর রাতে।পরে ঘটনার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থল থেকে মৃত গাড়ির চালক সহ আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে।
জানা যায়, মৃত গাড়ির চালকের নাম সুমন গোস্বামী।আহতরা হলেন সত্যজিৎ আচার্জী, এবং সমীর আচার্জী। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সাতসকালে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে ছুটে আসে মৃত সুমন গোস্বামীর পরিবারের লোকজনরা। পরিবারের অভিযোগ মুলে জানা যায়, সুমন গোস্বামী ও তার স্ত্রী মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সুমন গোস্বামীর স্ত্রীর দুই ভাই জোরপূর্বক ভাবে বামুটিয়া এলাকা থেকে তেলিয়ামুড়া স্থিত মাইগঙ্গা শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে মৃত সুমন গোস্বামীর স্ত্রী তথা রুপালি আচার্জী শনিবার ভোররাতে মৃত সুমনের বোন কে ফোন যুগে জানায়, সুমন গোস্বামীর এক্সিডেন্ট হয়েছে। কিন্তু জীবি হাসপাতালে রেফার করা হয়নি তাকে। চিকিৎসা চলছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। পরিবারের লোকজনরা তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে এসে জানতে পারে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুমন গোস্বামীর। এবং তার মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
পরে মৃত সুমনের বোন অভিযোগ করে বলেন,রাতে অকথ্য মদ্যপান করিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় এমনটাই অভিযোগ মৃত সুমন গোস্বামীর পরিবারের। অন্যদিকে মৃত সুমন ঘোস্বামীর পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ মৃত সুমনের শ্বশুর-শাশুড়ি স্ত্রী সহ পরিবারের কেউ তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে আসেনি। এবং খোঁজখবরও নেন নি মৃতদেহ কোথায় রয়েছে। জানা যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত সুমন গোস্বামীর গাড়িতে থাকা আহত দুই ব্যক্তি কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মৃত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখতে চায় তারা। পরবর্তীতে মৃত ব্যক্তির নাম জানা যায়। তবে এটা দুর্ঘটনার নাকি পরিকল্পিত খুন তা মূলত পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসতে পারে।