সংকট মোকাবিলায় বিরোধী দল এসজেবি নেতা প্রেমাদাসাকে সরকারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান নয়া প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ১৪ মে।। চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এক সংকটময় পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। ৭৩ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এ রাজনীতিবিদ দেশটির ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সংকট মোকাবিলায় প্রধান বিরোধী দল সামাজি জানা বালাওয়েগয়ার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে সরকারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এই আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন। সেখানে নতুন সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য প্রেমাদাসাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। দেশটিতে অস্থিরতার মধ্যে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করা ও বৈদেশিক সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্থিতিশীলতা আনার যৌথ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য এসজিবিকে আমন্ত্রণ জানান তিনি।

দেশের ভবিষ্যৎ দিন দিন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাওয়ায়, তা ঠেকাতে নতুন প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতার ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে এর আগে বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর গোতাবায়া সিদ্ধান্ত নেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে দায়িত্ব দেওয়ার। এর আগে প্রেমাদাসা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন গোতাবায়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেবেন না তিনি। যদিও পরে প্রেমাদাসা প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি হন। কিন্তু ততদিনে বেশ দেরি হয়ে গেছে। এরপর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া সাফ জানিয়ে দেন তিনি তার সিদ্ধান্ত বদলাবেন না।

মাহিন্দা রাজাপাক্ষের পদত্যাগের পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল কে হবেন শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? এর মধ্যেই গত বুধবার গোতাবায়া রাজাপাক্ষের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তারপর থেকেই খবর আসতে থাকে এর আগে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রনিল বিক্রমাসিংহেই দেশের হাল ধরতে চলেছেন।

সর্বপ্রথম ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিক্রমাসিংহে। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল, ২০১৫ থেকে ২০১৫ (১০০ দিন), ২০১৫ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন দেশের অর্থনীতি কতটা পুনরুদ্ধার করতে পারেন এই রাজনীতিক সেটাই দেখার বিষয়। আবার প্রেমাদাসা নতুন সরকারে যোগ দেবেন নাকি দেশটির প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন সেটি এখনো অস্পষ্ট।

রনিল বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব গ্রহণ পরই ঘোষণা দেন, তার সরকার দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং খাদ্যের মূল্য কমাতে কাজ করবে।

পর্যাপ্ত খাদ্য, চিকিৎসা ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, দেশে খাদ্য সংকট থাকবে না। তবে তার এই আশ্বাস কতটা কার্যকর হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি পুরোপুরি ধসে পড়েছে। এই পরিস্থিতি অল্প সময়ে কাটিয়ে ওঠা হয়তো সম্ভব হবে না।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?