অনলাইন ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর।। রাশিয়ার মস্কোতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সামনে চিনা বিদেশমন্ত্রী যতই বলুক যে সমস্যাকে দ্বন্দ্বে পরিণত করা উচিত নয়। কিন্তু পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি অন্য কথা বলে চলেছে।চিনা বিদেশমন্ত্রী মুখে অভয়বাণী শোনালেও।পূর্ব লাদাখে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে চিন।মূল নিয়ন্ত্রণ রেখা এলএসির কাছে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে হাউইটজার কামান।
এমনকি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করেছে। ফলে সতর্ক ভারতীয় সেনাবাহিনী।চিনা সামরিক বাহিনীর এমন মানসিকতা দিকে ইঙ্গিত করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের টেবিলে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন যদি আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত কিছু সমাধান হয়, তবে সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু কেন চিন বিপুল পরিমাণ সমরসজ্জা সীমান্তে মোতায়েন করেছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর এমন কথায় নীরব থেকে যান চিনা বিদেশমন্ত্রী।
প্যাংগং ঝিলের উত্তর দিকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গ নিজেদের দখলে নেওয়ার পর চিন ভেবেছিল যে ভারত সমঝোতায় যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু চিনের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে প্যাংগং ঝিলের দক্ষিণ দিকে থাকা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গ নিজেদের দখলে করে নেয় ভারত। এমনকি যেসব জায়গা চিন দখল করে রেখেছে সেখান থেকে লাল ফৌজকে সরানোর জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়ে চলেছে ভারত।সম্প্রতি রাশিয়ার মস্কোতে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশের সম্মেলনে যোগ দেয় ভারত।সেখানে দ্বিপাক্ষিক স্তরে বৈঠক হয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এবং চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে।
এমনকি ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীও বৈঠক করে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। বৈঠকে ভারতের তরফ থেকে বারবার বলা হয় যে সীমান্তবর্তী এলাকায় সৈন্য, সমরসজ্জা চিন কমিয়ে নিক। সীমান্ত নিয়ে যে বিবাদ তৈরি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে সওয়াল করে ভারত। যদিও এখনো পর্যন্ত কার্যক্ষেত্রে এর কোন প্রতিফলনই দেখায়নি চিন।