অনলাইন ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর।। আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কাজিরঙা জাতীয় অর্কিড এবং জৈব-বৈচিত্ৰ্য উদ্যান। পাশাপাশি অক্টোবরের প্ৰথম সপ্তাহেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বিশ্বঐতিহ্য কাজিরঙা ন্যাশনাল পার্কের গেটও। তবে জাতীয় উদ্যানটি কত তারিখ খুলবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
এর জন্য প্ৰস্তুতি নিতে ব্যস্ত উদ্যানের প্রশাসনিক আধিকারিক, কৰ্মী তথা বনকৰ্মীরা।গত কয়েকমাসে অতিমারি কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যথেষ্ট লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে উদ্যান কৰ্তৃপক্ষ। সেই আৰ্থিক ক্ষতিপূরণ করতে কোভিড-১৯-এর সমস্ত ধরনের প্ৰটোকল মেনেই পর্যটকদের জন্য উদ্যান খোলা হবে।অন্যদিকে, কাজিরঙা জাতীয় অর্কিড এবং জৈব-বৈচিত্ৰ্য উদ্যানের সমস্ত প্ৰাকৃতিক সম্পদ ভালো করে দেখাশোনা করে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হচ্ছে।
কোভিড ঠেকাতে একবারে মাত্ৰ ১০০ জন দর্শকই অর্কিড উদ্যানে ঢুকে প্ৰাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। তাই প্ৰত্যেক পর্যটককে সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম-নীতি মেনে চলেই উদ্যানে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন উদ্যান কর্তৃপক্ষ। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য বছরের মতো রাতে অসমের বিভিন্ন উপজাতির নাচ-গান সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।এদিকে, কাজিরঙার জাতীয় উদ্যানের ডিরেক্টর পি শিবকুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অতিমারি কোভিড সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য রেখে কাজিরঙায় এবার জিপ সাফারি এবং হাতির পিঠে চড়ে অরণ্য ঘুরে দেখার সুবিধা আগের থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পর্যটকদের পাশাপাশি সাফারি চালক এবং যিনি গাইড করবেন তাঁকেও মাস্ক এবং ফেস শিল্ড পরতে হবে। উদ্যানের গেট পর্যটকদের জন্য কবে খুলে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হবে, জানান পি শিবকুমার।প্ৰসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি সারা দেশে এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিধি তথা নির্দেশিকা জারি করেছে।