বিশ্বকবির আদর্শ, চিন্তাধারায় আজ নতুন প্রজন্ম উৎসাহিত হচ্ছে : মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৯ মে।। প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আজ সকালে রবীন্দ্রকাননে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের সূচনা হয়। রবীন্দ্রকাননে প্রভাতী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রবীন্দ্র মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তারপর রবীন্দ্র মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান সুভাষ দেব, সদস্য সুব্রত চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিশেষ সচিব ডা. প্রশান্ত কুমার গোয়েল, অধিকর্তা রতন বিশ্বাস সহ শিল্পী, সাহিত্যিক প্রমুখ।

প্রভাতী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কোভিড মহামারীর পর আজ ত্রিপুরা সহ সমগ্র বিশ্বে যেখানেই বাঙালীরা রয়েছেন সেখানে আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। কবিগুরু ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।

১৮৬১ সালে তিনি কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। কবিগুরু তাঁর প্রতিটি লেখনীর মাধ্যমে, কবিতার মাধ্যমে, গানের মাধ্যমে, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে বাঙালী জাতিকে পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ জাতিতে রূপান্তর করার প্রচেষ্টা নিলেও তিনি ছিলেন সবার কবি। তাই তিনি বিশ্বকবি। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষকে একটা নতুনরূপ দিতে চেয়েছিলেন। জীবদ্দশায় জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যা লীলার প্রতিবাদে তিনি নাইট উপাধি পরিত্যাগ করেন।

বিশ্বকবির আদর্শ, চিন্তাধারায় আজ নতুন প্রজন্ম উৎসাহিত হচ্ছে। আজকের প্রভাতী অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীদের রবীন্দ্র নৃত্য, রবীন্দ্র সংগীত ও আবৃত্তি সেই সাক্ষ্যই বহন করে। তিনি বলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আত্মিক সম্পর্ক ছিল। ত্রিপুরার মহারাজাদের আমন্ত্রণে তিনি ত্রিপুরায় এসেছিলেন। প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে আগরতলা শহর ও শহরতলীর বহু সাংস্কৃতিক সংস্থার শিশু শিল্পীরা রবীন্দ্র সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করে।

এদিকে আজ দুপুরে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং প্রেক্ষাগৃহে তাৎক্ষণিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, ওপেন ক্যুইজ প্রতিযোগিতা এবং সমবেত নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং শিক্ষা দপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাৎক্ষণিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়, এমবিবি কলেজ, বিবিএমসি ও হাঁপানীয়ার মহিলা পলিটেকনিক কলেজের ৩১ জন ছাত্রছাত্রী ও ৩ জন সাধারণ নাগরিক অংশ নেন।

রবীন্দ্র বিষয়ক ওপেন ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগণ অংশ নেন। ক্যুইজটি পরিচালনা করেন ড. সায়ন চৌধুরী। সমবেত রবীন্দ্র নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিদ্যালয় ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার ১৩টি দল অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য- সদস্যাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, অধ্যাপিকাগণ ও দর্শকগণ উপস্থিত ছিলেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?