অনলাইন ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর।। ডিমা হাসাও জেলায় শুরু হয়েছে করোনার ভয়ঙ্কর গণ-সংক্রমণ। এবার হারাঙ্গাজাও মিয়াংক্রোতে অবস্থিত সুচি ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেডের ৫০ জন কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার দরুন শনিবার থেকে হারাঙ্গাজাওয়ে শুরু হয়েছে চার দিনের লকডাউন।
বালাছড়া থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের চারলেন রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে সুচি ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড নামে নির্মাণ সংস্থা। ওই নির্মাণ সংস্থার একটি ক্যাম্প রয়েছে হারাঙ্গাজাওয়ের মিয়াংক্রোতে। নির্মাণ সংস্থার ওই ক্যাম্পে রয়েছেন ৮৫ জন কর্মী এবং তাঁদের মধ্যে ৫০ জনের দেহে শুক্রবার ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, মিয়াংক্রোতে অবস্থিত সুচি ইনফ্রা প্রইভেট লিমিটেড কোম্পানির এক কর্মী প্রথমে করোনার উপসর্গ নিয়ে হারাঙ্গাজাও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে সেখানে ওই কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তাঁর দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এর পর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ওই নির্মাণ সংস্থার সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা করেন। ওই পরীক্ষায় ৫০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।
এদিকে ডিমা হাসাও জেলায় ভয়ঙ্কর হারে বৃদ্ধি হচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই নতুন নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। সাধারণ মানুষ সরকারি নীতি নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলার দরুন দ্রুতহারে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার প্রতি লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রীয় সরকার স্কুল কলেজ ও কোচিং ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরও ডিমা হাসাও জেলার একাংশ শিক্ষক কোভিড প্রটোকল না মেনে সরকারের নীতি নির্দেশিকা অমান্য করে ছাত্রছাত্রীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিব্যি প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের অধীনে এ সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না বলে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, ডিমা হাসাও জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬০৬। এর মধ্যে ৪২৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাফলং সরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বর্তমানে হাফলং সরকারি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ৮২ জন রোগীর চিকিৎসা চলার পাশাপাশি ৯৮ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে জেলার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে।