অনলাইন ডেস্ক, ৭ মে ।। আফগান নারীদের ঘরের বাইরে চলাচলের সময় মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। শনিবার তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা একটি ডিক্রি জারি করে এই আদেশ দিয়েছেন।
তালেবান সরকারের ‘পূণ্যকাজে সহায়তা এবং পাপকাজ প্রতিরোধ’ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র শনিবার কাবুলে এক প্রেস কনফারেন্সে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার ডিক্রিটি পড়ে শোনান।
ডিক্রিতে আরও বলা হয় যে, কোনো নারী যদি ঘরের বাইরে মুখ ঢেকে না চলে তাহলে তার বাবা বা ভাই অথবা নিকটতম পুরুষ আত্মীয়কে কারাগারে বন্দী করা হবে বা সরকারী চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
ডিক্রিতে বলা হয়, নারীদের মুখ ঢেকে রাখার আদর্শ পোশাক হল পুরো মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতে সক্ষম নীল বোরখা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনের প্রথম মেয়াদে এই বোরখাই আফগান নারীদের বৈশ্বিক প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
আফগানিস্তানের বেশিরভাগ নারী ধর্মীয় কারণে মাথায় হিজাব পরেন। তবে কাবুলের মতো শহরাঞ্চলে অনেক নারীই তাদের মুখ ঢেকে রাখেন না।
তালেবানরা গত বছরের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর বলেছিল তারা এবার আর আগের মতো নারীদের ওপর অতটা কঠোর হবে না। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি। এবারও তারা নারীদের ওপর একের পর এক বিধি-নিষেধ আরোপ করছে। সম্প্রতি পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের ভ্রমণ এবং পুরুষ ও নারীদের পার্কে একসঙ্গে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে তালেবান।
গত মার্চ মাসে মেয়েদের হাইস্কুলগুলো খোলার পরপরই ফের বন্ধ করে দেয় তালেবান। যার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির আর্থিক সঙ্কট কমানোর লক্ষ্যে পরিকল্পিত মিটিং বাতিল করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দাতা দেশগুলোও উন্নয়ন সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে এবং আফগান ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত আগস্টে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগান অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। দেশটির ৯৭% মানুষই এখন খাদ্যের অভাবে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।