অনলাইন ডেস্ক,৩০ এপ্রিল।। আমরা অনেকেই ছোটবেলায় বাবা -কাকাদের দেখেছি দাড়ি কামানোর পর গালে এক টুকরো ফটকিরি ঘষে নিতে৷ কিন্তু জানতেন কি ফটকিরির এত গুণ। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক দৈনন্দিন জীবনে ফটকিরির উপকারিতা।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়? ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে এমনটা হতে পারে। ফটকিরি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। জলেতে সামান্য লবন মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তাতে ফটকিরি গুঁড়ো করে দিয়ে দিন। জল ঠান্ডা হলে একটি বোতলে ভরে রাখুন। নিয়মিত এই জল দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
ঘা শুকাতে সাহায্য করে: মুখের ভেতরে কোনো ঘা হলে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। যার হয় সে-ই বোঝে মুখের ভেতরের ঘা-এর কী যন্ত্রণা। ঝাল খাবার তো দূরে থাক, জল পানেও সমস্যা সৃষ্টি করে এই ঘা। এ ক্ষেত্রে ফটকিরি দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। একটু জ্বালা করলেও ঘা শুকিয়ে যাবে অল্প সময়েই।
ত্বকের ক্ষত কমাতে: দাড়ি কাটতে গিয়ে অনেক সময় আচমকা ত্বকে ক্ষত হয়ে যায় বা কেটে যায়। কিংবা রান্নাঘরে কাজ করতে করতে হাত কেটে যায়। এ ক্ষেত্রে ফটকিরি লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন জায়গাটা। কোনো রকম সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে না। চুল-দাড়ি কাটার সেলুনগুলোতে ফটকিরির ব্যাপক ব্যহার এখনও হয়।
ব্রণের সমস্যা দূর করতে: গরমের দিনে ব্রণের সমস্যায় নাজেহাল কমবেশি সবাই। এক চামচ মুলতানি মাটি, দুই চামচ ডিমের সাদা অংশ এবং এক চামচ ফটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ব্রণের সমস্যা বাড়লে এটা মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের লালচে ভাব বা ফোলা ভাব কমবে, ব্যথাও থাকবে না। তবে সংবেদনশীল ত্বক হলে এটি ব্যবহার না করাই ভালো।
বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে: ৪০ পেরোলেই ত্বকে বয়েসের ছাপ পড়তে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে জলে ফটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে ফ্রিজে বরফ বানিয়ে নিন। প্রতিদিন এই বরফ মুখে ঘষে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দীর্ঘ দিন নিয়মিত এই টোটকা মেনে চললে ত্বক মসৃণ ও টানটান হবে।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে: ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও দারুণ কাজ করে ফিটকিরি। জলেতে ফটকিরির গুঁড়ো মিশিয়ে স্নান করলে ঘামে দুর্গন্ধ হয় না।