স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৯ এপ্রিল।। আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবিপি হাসপাতালে এই প্রথম পেরিফেরাল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সফলভাবে সম্পন্ন হল। রোগী এখন সুস্থ হয়ে বাড়িতে। এই সফল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সম্পন্ন হওয়ায় রোগীর পরিবার পরিজনেরা আনন্দিত ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সম্প্রতি ৭৯ টিলার বাসিন্দা ৫২ বছর বয়স্ক জনৈক ডায়াবেটিস রোগী দীর্ঘদিন ধরে পায়ের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বা পায়ে ব্যাথা হত এবং ধীরে ধীরে পায়ের পাতা ঠান্ডা ও কালো হয়ে গিয়েছিল। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে তাকে দিনরাত জেগে থাকতে হচ্ছিল। অর্থোপেডিক বিভাগ থেকে রেফার হয়ে তিনি সিটিভিএস-আইআর ওপিডিতে আসেন। সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাম পরীক্ষা করে দেখা যায় তার বাঁ পায়ের মূল ধমনীতে ব্লকেজ রয়েছে, যার কারণে তার পায়ের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং তার পায়ের আঙ্গুলও পচে যায়।
গত ১৯ এপ্রিল আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবিপি হাসপাতালের কার্ডিয়াক ও ভাস্কুলার সার্জন ডাঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাথল্যাব টিম রোগীর শরীরে পেরিফেরাল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে এই ব্লকেজ সারায়। ফলে তার পায়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং যন্ত্রণা কমে যায়। পরে আবার ২৭ এপ্রিল অপারেশনের মাধ্যমে তার পচে যাওয়া পায়ের আঙ্গুল বাদ দেওয়া হয়। রোগী এখন সুস্থ রয়েছেন। তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন। উল্লেখ্য রাজ্যে এই প্রথম পেরিফেরাল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এই পেরিফেরাল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি অপারেশন সফল হওয়ায় ডাঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্য কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ অরূপ দেব, কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ অনিন্দ্য সুন্দর ত্রিবেদী, অ্যানেস্থেসিওলক্রিস্ট ডাঃ সুরজিৎ পাল, ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান সঞ্জয় ঘোষ, স্ক্রাব নার্স প্রাণকৃষ্ণ দেব, দেবব্রত দেবনাথ ও অন্যান্য ৩টি অ্যাসিস্ট্যান্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হার্টের চিকিৎসার পাশাপাশি ভাস্কুলার সার্জারি ও অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সুবিধা ও উপলব্ধ হওয়ায় জনগণ উপকৃত হবেন বলে উনি আশা ব্যক্ত করেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানিয়েছেন।